নতুন দিল্লি, ৩০ জানুয়ারি: হোমিওপ্যাথিতেই (homoeopathy) ঘায়েল করোনা ভাইরাস, জানাল কেন্দ্র। করোনা ভাইরাসে জর্জরিত চিন, আতঙ্কের প্রহর গুনছে গোটা বিশ্ব। এখনও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এর কোনও প্রতিষেধক তৈরি করতে পারেনি। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অনেকেই ভারতে ফিরেছেন। কেউ কর্মসূত্রে চিনে থাকেন, কেউ বা চিনা নাগরিক। ইতিমধ্যে করোনার থাবায় মৃত্যু হয়েছে এক ভারতীয় যুবকের। তাঁর নাম মনির হোসেন, বাড়ি ত্রিপুরায়। কর্মসূত্রে থাকতেন মালয়েশিয়ায়। ভারতেও ছড়িয়েছে আতঙ্ক, দেশের প্রতিটা বিমানবন্দরে চিন থেকে আগত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। সন্দেহজনক ভাইরাসের প্রমাণ মিললেই বিশেষ সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে রোগীকে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পৃথক কেবিনে চলছে চিকিৎসা
এমতাবস্থায় বিজেপি সরকার (Modi Government) জানাল, করোনা ভাইরাসের ওষুধ রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে। কোনও প্রতিষেধক বা অ্যালোপ্যাথিতে করোনা-কে জখম করা যাবে না। একমাত্র হোমিওপ্যাথিই এই কাজ করতে পারে। এনিয়ে আয়ুর্বেদ মন্ত্রকের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করা যায়। করোনা আক্রান্তের উপসর্গ সারানোর জন্য ইউনানি ওষুধ অত্যন্ত কার্যকর বলে জানানো হয়েছে। এর জন্য একটি নির্দেশিকাও জারি করে কী করা উচিত, কী করা উচিত নয় তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আরসেনিকাম অ্যালবাম ৩০ (Arsenicum album 30) এই ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম। আয়ুর্বেদ মন্ত্রকের এই নির্দেশিকায় তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। চিকিত্সাশাস্ত্রে হোমিওপ্যাথি কতটা ‘বিজ্ঞানসম্মত’ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ পরামর্শ দেন ইউনানি মেডিসিন পড়ুয়াদের আগে মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে পড়া উচিত। আরও পড়ুন-Bank Strike From January 31: দেশজুড়ে ফের দুদিনের ব্যাংক ধর্মঘট, মাসের শেষ ও প্রথমে বড়সড় বিপাকে গ্রাহকরা
করোনা আতঙ্ক গোটা বিশ্বে। এই মারণ ভাইরাস মোকাবিলায় কার্যত অসহায় চিন। সেই দেশ থেকেই উৎপত্তি করোনার কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওষুধ বা ভ্যাকসিন তৈরিতে অক্ষম চিনা চিকিৎকরা। এদিকে করোনার মতো অত্যন্ত স্পর্শকাতর ভাইরাস মোকাবিলায় আদৌ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা প্রযোজ্য কিনা তা এখনও প্রমাণ হয়নি। গবেষণা না করেই সরকারের তরফে এমন নির্দেশিকায় বিভ্রান্তি তৈরি হতে বলে মনে করছেন অনেকেই। শুরু হয়েছে বিতর্কও।