টানা বৃষ্টিতে জলস্তর বেড়েছে গুজরাটের বেশ কয়েকটি জেলায়। বাস্তুহারা হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বানভাসী ১১ জেলায়। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৮ হাজার মানুষজনকে উদ্ধার করেছে এনডিআরএফের সদস্যরা বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল (Bhupendra Patel) হেলিকপ্টারে করে বন্যাবিধ্বস্ত দেবভূমি দ্বারকা এবং জামনগর এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের আধিকারিকরা। সেই সঙ্গে দ্বারকা জেলায় খাম্বালিয়া ত্রাণশিবিরে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এবারের বন্যায় সবথেকে বেশি  খাম্বালিয়াতেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এখান থেকে বিকেলে জামনগর ও ভাদোদারার উদ্দেশ্যে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী।

গত সোমবার থেকে ভারী বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে গুজরাটের বিভিন্ন জেলায়। এখনও দ্বারকা, আমেদাবাদ, মোরবি সহ বিভিন্ন এলাকায় লাল সতর্কতা জারি রেখেছে আবহাওয়া দফতর। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও কিছু জানা যায়নি। আগামীদিনে বৃষ্টি কমার পর জল নামলে বোঝা যাবে এবারের বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কতটা। প্রশাসন সূত্রের খবর, বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। তবুও জায়গা পেতে অনেকেরই সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী সময়মতো পাঠানো হচ্ছে।