ডাক্তার কাফিল খান(Photo Credit: ANI)

মুম্বই, ৩০ জানুয়ারি: সিএএ বিরোধিতায় জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়েছিলেন গত বছর ১২ ডিসেম্বর। সেই অপরাধে ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে মুম্বই (Mumbai) বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হলেন গোরক্ষপুরের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাক্তার কাফিল খান (Doctor Kafeel Khan)। মুম্বই এসটিএফ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বর স্থানীয় মুম্বই বাগে তাঁর বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল। শাহিন বাগের মতো সেখানেও চলছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। মহিলারা অবস্থান বিক্ষোভ করছেন। সেখানেই কাফিল খানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে বক্তৃতা রাখা তো দূরঅস্ত তার একদিন আগেই গ্রেপ্তার হলেন এই চিকিৎসক। উত্তরপ্রদেশ এসটিএফ-এর ইন্সপেক্টর অমিতাভ যশ বলেছেন, ২৯ তারিখ রাতে মুম্বইতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ডাক্তার কাফিল খান, তবে কী কারণে গ্রেপ্তারি তা এখনও জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০১৯-এর ১৩ ডিসেম্বর আলিগড় থানায় কাফিল খানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ ধারায় মামলা রুজু হয়। ১২ ডিসেম্বর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তিনি ৬০০ পড়ুয়ার সামনে সিএএ বিরোধী ভাষণ দিয়েছেন। অভিযোগ, তখন তাঁর বক্তব্যে বিদ্বেষ ছিল। তিনি হিন্দু বিরোধী বীজ বপণ করছিলেন পড়ুয়াদের মনে। সিএএ নিয়ে হিন্দু, ক্রিস্টান, বৌদ্ধ ও পার্সি বিরোধী মন্তব্যে করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘মোটাভাই আমাদের হিন্দু ও মুসলিম হওয়ার শিক্ষা দিচ্ছেন, মানুষ হওয়ার নয়। আরএসএস সমর্থিত স্কুলগুলিতে শেখানো হয় যাদের দাড়ি আছে তারা সন্ত্রাসবাদী।’ ডাক্তারের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকেই জানা গিয়েছিল, তিনি মুম্বই বাগের সিএএ বিরোধী আন্দোলনে বক্তব্য রাখবেন ৩০ তারিখে। তাঁর ভাই আদিল খান জানিয়েছেন, রাতে মুম্বই বিমানবন্দরেই গ্রেপ্তার হয়েছেন ওই চিকিৎসক। তিনি পাটনা থেকে সেখানে গিয়েছিলেন। আরও পড়ুন-Women's Entry In Mosque For Prayers Permitted: মুসলিম মহিলাদের মসজিদে নামাজ পড়াতে বাধা নেই, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড

এর আগেই গত সেপ্টেম্বরে উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের বিআরডি মেডিকেল কলেজের (BRD Medical college Gorakhpur)২০১৭ শিশু মৃত্যুর ঘটনায় কাফিল খানকে ক্লিনচিট দিল হাসপাতাল কর্তপক্ষ। ২ বছরের জন্য কাফিল খানকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতি, দুর্নীতি ও নিজের দায়িত্ব পালন না করার সমস্ত অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে গোরখপুরে হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ৬০ জনেরও বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত হয়। সেই তদন্তে কাফিল খানকে নিরপরাধ বলে ক্লিনচিট (Cleanchit) দেওয়া হয়। সূত্রের খবর সেই রিপোর্ট বলা হয়েছে , কাফিল খানকে অভিযুক্ত হিসেবে ঘোষণা করতে উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হবে না।