
দিল্লি, ৭ মে: অপারেশন সিদূঁরের (Operation Sindoor) মাধ্যমে পাকিস্তানের (Pakistan) জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত মঙ্গলবার মধ্যরাতে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের পাশাপাশি সরাসরি পাকিস্তানে ঢুকে সিয়ালকোটে হিজবুলের যে ঘাঁটি রয়েছে মেহমুনা জ়োয়া ক্যাম্প নামে, তাও গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানি জঙ্গিদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিচ্ছে যখন সেনা বাহিনী, সেই সময় ভারতের মহাকাশ গবেষণা (Space) নিয়ে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)।
বিশ্ব মহাকাশ গবেষণা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহাকাশকে শুধু অনুসন্ধানের ক্ষেত্র হিসেবেই ভারত দেখে না, মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্র কীভাবে মানুষের ক্ষমতায়নের জন্য ব্যবহার করা যায়, তাও দেখা হয়। ১৯৬৩ সালে ভারতের তরফে মহাকাশে একটি ছোট রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়। তবে রকেট ছোট হলেও সেই থেকে শুরু। এরপর ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণকারী প্রথম দেশ হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছে। বিশ্বের সামনে নিজের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রকে তুলে ধরেছে। আর এই পর্যন্ত ভারতের মহাকাশ যাত্রা অসাধারণ বললেও অত্যুক্তি হয়না। এমনই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মহাকাশ গবেষণা নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী শুনুন...
#WATCH | Prime Minister Narendra Modi's video message, recorded yesterday for the Global Conference on Space Exploration, is being aired.
PM Modi says, "Space is not just a destination. It is a declaration of curiosity, courage and collective progress. Indian space journey… pic.twitter.com/DGyRC39GSV
— ANI (@ANI) May 7, 2025
আরও পড়ুন: Operation Sindoor: মধ্যরাতে পাকিস্তানকে 'যোগ্য' জবাব, রাতভর 'অপরেশন সিঁদুর'-এ চোখ মোদীর
বিশ্ব জুড়ে মহাকাশ সম্মেলনে হাজির হয়ে ভারতের সাফল্য এবং গবেষণার বিভিন্ন ক্ষেত্রকে জনগণের সামনে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের মহাকাশ গবেষণাকে কৃষিকাজ থেকে দুর্যোগ প্রতিরোধ, সেই সব জায়গায় ব্যবহার করা হচ্ছে। মহাকাশ গবেষণার মাধ্যমে ভারত যে শুধু মহাজাগতিক ক্ষেত্রে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে তা নয়, মানুষের জীবনধারণের ক্ষেত্রে কীভাবে তা প্রয়োগ করা যায়, সেই চেষ্টাও করা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী।
এসবের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ভারতের চন্দ্রযান এবং গগনযান এর মত অভিযানগুলিকে প্রকাশ্যে তুলে ধরেন এবং তা নিয়ে আলোচনা করেন। ভারতের মহাকাশ গবেষণা কীভাবে দেশের মানুষের বিশেষ করে কৃষক, মৎস্যজীবী এবং প্রান্তিক মানুষের জীবনের সমস্যার সমাধান করতে পারে, সে বিষয়ে চালানো হচ্ছে চেষ্টা।