কানপুর, ২২ জুন: এবার করোনার গ্রাসের উত্তরপ্রদেশের কানপুরের (Kanpur) একটি সরকারি হোম। সেখানকার ৫৭ জন কিশোরীর শরীরে মিলল কোভিডের সংক্রমণ। সংক্রামিতদের মধ্যে পাঁচ কিশোরী আবার অন্তঃসত্ত্বা। সংবাদসংস্থা এএনআই-এর তথ্য বলছে, আক্রান্ত ৫৭ জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ওই হোমের কোনও কর্মীর শরীরে এখনও সংক্রমণের হদিশ মেলেনি। হোমটিকে স্যানিটাইজ করার পর সিল করে দিয়েছে প্রশাসন। হোমের অন্যান্য আবাসিক ও কর্মীদের সেখানেই কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে কোভিড -১৯ সক্রিয় রয়েছে প্রায় ছ’হাজার জনের শরীরে। মৃত্যু হয়েছে ৫০৭ জনের। এদিকে সারা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চার লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে।
রবিবার সকালের বুলেটিনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায় ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫ হাজার ৪১৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। সারা দেশে কোভিডের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজারের বেশি মানুষের। তবে সুস্থও হচ্ছেন অনেকে। এদিন সকালে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রথমে চাউর হয়, ওই হোমের আবাসিক করোনা আক্রান্ত দুই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। সরকারি হোমে কিশোরীদের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে যায় তারপর রাতে কানপুরের জেলাশাসক সাংবাদিক বৈঠক করে গোটা ঘটনার ব্যাখ্যা দেন। তিনি জানিয়েছেন, দু’জন নয়। পাঁচ জন কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। তবে ডিসেম্বর মাসে তারা যখন হোমে এসেছিল তখনই অন্তঃসত্ত্বা ছিল বলে জানিয়েছেন কানপুরের ডিএম। আরও পড়ুন-Delhi Rains: কাকভেজা বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রাজধানীর ঘুম ভাঙল, দিনভর বর্ষণের ইঙ্গিত মৌসম ভবনের
অন্তঃসত্ত্বা পাঁচ কিশোরীকে পাঁচটি জেলা থেকে পৃথক পৃথক সংস্থা হোমে পাঠিয়েছিল বলে জানিয়েছে কানপুর জেলা প্রশাসন। তারা কী ভাবে অন্তঃসত্ত্বা হল সে ব্যাপারে তদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই পুলিশ পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন পুনম কাপুর বলেছেন, সম্প্রতি হোমের এক কর্মী হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সম্ভবত তাঁর মৃদু সংক্রমণ থেকেই বাকিরা সংক্রামিত হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে যে যে জায়গায় করোনা সংক্রমণ ব্যাপক তার মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কানপুর। প্রথমে রয়েছে নয়ডা। এদিকে কানপুরের হোমের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর যোগী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।