Kolkata: বুলবুলের জের, পিছিয়ে গেল বিপর্যস্ত জেলাগুলিতে স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা
ফাইল ফোটো (Photo Credit: PTI)

কলকাতা, ১৪ নভেম্বর : ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের (cyclone bulbul) জেরে বিধ্বস্থ জেলাগুলিতে পিছিয়ে গেল রাজ্য সরকারি স্কুলগুলির বার্ষিক পরীক্ষা (annual examination। আজ নবান্নে (nabanna) মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) এই ঘোষণা করেন। তিনি জানান, বুলবুলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে ২৬ নভেম্বরের জায়গায় পরীক্ষা শুরু হবে ২ ডিসেম্বর। ইটিভি ভারতের খবর অনুযায়ী, বুলবুলের কারণে বিপর্যস্ত জেলাগুলিতে পিছিয়ে যেতে মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষাও। সূত্রের খবর এমনই। এর আগে বুলবুলের জেরে ১১ নভেম্বর রাজ্যের একাধিক জেলায় স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০টি জেলার স্কুল বন্ধ রাখা হয়।

৯ নভেম্বর রাত ৮টা নাগাদ সুন্দরবন (Sundarban)  এলাকায় প্রবেশ করে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল৷ আছড়ে পড়ে সাগরদ্বীপে (Sagar Island)। ঝড়ের দাপটে বিপর্যস্ত হয় উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলি৷ ১৩০ কিমি বেগে চলে ঝড়ের তাণ্ডব৷ বিপর্যস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনের পর বুলবুলের জন্য গঠিত স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে পেয়েছে নবান্ন। তাতে দেখা গেছে ৩ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বুলবুলের তাণ্ডবে। ৯ হাজারের বেশি গাছ ও ৯৫০টি মোবাইল টাওয়ার ভেঙে গেছে। গতকাল বসিরহাটে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বুলবুলের কারণে রাজ্যের ১৫ লাখ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।

এদিকে বুলবুলের কারণে বিপর্যস্তদের বিশেষ কিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত ৬ লাখ পরিবারকে রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া হবে এই ‘ডিগনিটি কিট’ বা 'ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কিট'। কী কী থাকছে এই কিটে?কিটে থাকছে ত্রিপল, ২টি শাড়ি, লুঙ্গি, ধুতি, বাচ্চাদের পোশাক, চাদর, শুকনো খাবার, স্টোভ বাসনসহ দৈনন্দিন ব্যবহার্য নানা জিনিসপত্র। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো এই বিশেষ কিট পৌঁছে যাবে দুর্গতদের কাছে। এছাড়া, এই বুলবুলের তাণ্ডবে মৃতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

বুধবার বসিরহাটে যান মুখ্যমন্ত্রী। হেলিকপ্টারে করে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করার পর প্রশাসনিক বৈঠকও করেন। বৈঠকে প্রশাসনের আধিকারিকদের তিনি বলেন, "নজর দিন ত্রাণ নিয়ে যেন কারও ক্ষোভ না থাকে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুকনো খাবার, দুধ দুর্গতদের হাতে তুলে দিন। ত্রাণ নিয়ে কোনও রাজনীতি যেন না হয়। সবাই যাতে ত্রাণ পায় তা দেখতে হবে।"