২০ টাকা দিতে অস্বীকার করেছিলেন মা। আর সেই নিয়ে বচসা বাধে। রাগের মাথায় ঘরে থাকা কুড়ুল দিয়ে মহিলাকে কুপিয়ে হত্যা করল মাদকাসক্ত ছেলে। খুনের পর ওই অবস্থাতেই রাতে ঘুমিয়ে সকালে উঠে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে যুবক। গত শনিবার নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে গুরুগ্রামের (Gurugram) ন্যুহ জেলার জয়সিংহপুর গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫৬ বছর বয়সী মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। সেই সঙ্গে যুবকের থেকে উদ্ধার হয়েছে গাঁজা ও আফিমের মতো নিষিদ্ধ মাদকের প্যাকেট।
কুড়ুল দিয়ে মাকে কুপিয়ে খুন ছেলের
জানা যাচ্ছে, শনিবার রাতে জামশেদ নামে ওই যুবকের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বচসা হয়। তারপর রাগের মাথায় কুড়ুল দিয়ে আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন রাজিয়া। তারপরেই রাতের খাবার খেয়ে ঘরে ঢুকে শুয়ে পড়়ে যুবক। সকালে উঠে স্থানীয় থানায় গিয়ে ঘটনাটি জানান। ঘটনাটি শুনে কার্যত হতবাক হয়ে পড়ে পুলিশ আধিকারিকরা। এরপর যুবকের বাড়িতে পুলিশের একটি দল গিয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে।
ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ
মহিলা দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। গ্রেফতার করা হয় যুবককে। উদ্ধার করা হয় রক্তমাখা কুঠার। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে কয়েকমাস আগেই জামশেদের বাবা মুবারকের মৃত্যু হয়। সেই শোকে ছিলেন তাঁর স্ত্রী রাজিয়া। এদিকে ছেলে মাদকের নেশায় আশক্ত, এই নিয়ে দুজনের মধ্যে হামেশাই ঝামেলা হচ্ছিল।