শ্রীনগর, ২২ জানুয়ারি: জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) আসন পুনর্বিন্যাসের (Delimitation ) কাজ শুরু হয়েছে। এবার এখানে শীঘ্রই নির্বাচন আয়োজিত হবে। জম্মু-কাশ্মীরে গিয়ে এমন কথাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের সময়ই জম্মু-কাশ্মীরকে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগের কথা জানানো হয়েছিল। লোকসভায় দাঁড়িয়ে সেই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কথা দিয়েছিলেন, জম্মু-কাশ্মীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে, সেখানে নির্বাচন হবে।
আজ, শনিবার জম্মু-কাশ্মীরে এক সরকারী অনুষ্ঠানে গিয়ে অমিত শাহ জানালেন, লোকসভায় আমি যেমন বলেছিলাম, সেটাই হচ্ছে। এখন আসন পুনর্বিন্যাসের কাজ চলছে, শীঘ্রই জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচন হবে। জম্মু-কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে দাবি করে বিরোধীদের তোপ দাগেন শাহ। আরও পড়ুন: ইন্ডিয়া গেটে বসছে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মূর্তি, টুইট প্রধানমন্ত্রীর
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, জম্মু-কাশ্মীরে এখন উন্নয়নের জোয়ার এসেছে। অনেক বিনিয়োগ আসছে, পর্যটনের ঢল নেমেছে, বেকাররা চাকরি পাচ্ছে, অনেক কর্মসংস্থান হচ্ছে। ২০১৯-র আগে জম্মু-কাশ্মীরে ৮৭ জন বিধায়ক থাকত আর ৩টি পরিবার গোটা রাজ্যকে শাসন করত। এখন সেখানে ৩০ হাজার জনপ্রতিনিধি উন্নয়ন যজ্ঞে ব্যস্ত থাকে। আদের চেয়ে এখানে ৪০ শতাংশ কম জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে এবং জঙ্গি হামলায় মত্যুও ৮৭ শতাংশ কমে গিয়েছে বলে অমিত শাহ দাবি করেন। ফারুক আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি সহ রাজ্যের বিরোধীরা জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা প্রচার করছেন বলেও শাহ জানান।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে শেষবার জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৮৭ আসনের জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় ২৮টি আসন জিতেছিল পিডিপি, ২৫টি-তে জিতেছিল বিজেপি, ১৫টি-তে ন্যাশানল কনফারেন্স ও ১২টি-তে কংগ্রেস। বিজেপি-র সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি। ২০১৮ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর ৩৭০ ধারা বাতিলের সঙ্গে রাজ্যের স্বীকৃতিও কেড়ে নেওয়া হয়।