দিল্লি, ২ আগস্ট: সন্দেহের বশে যেকোনও ব্যক্তিকে সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়ে গ্রেপ্তার করা যাবে। রাজ্যসভায় পাস হয়ে গেল সন্ত্রাস বিরোধী আইন সংশোধনী ইউএপিএ বিল। এবার শুধু রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের স্বাক্ষরের অপেক্ষা, সেটি হয়ে গেলেই তৈরি আইন। এদিন সংসদে বিলটি পাসের পক্ষে ১৪৭ জন ভোট দেন, বিপক্ষের মাত্র ৪২টি ভোট। তবে বিল পাস হলেও এটির যে অপব্যবহার হবে সেবিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত বিরোধীরাষ শুধু বিরোধীরাই বা বিল কেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও ইউএপিএ বিলের আইনে পরিণত হওয়ার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। আরও পড়ুন-#No more Triple Talaq: বিজেপি সরকারের যুগান্তকারী জয়, রাজ্যসভায় পাস তিন তালাক বিল
উল্লেখ্য, সংখ্যা গরিষ্ঠতার জোরে লোকসভায় আগেই বিলটি পাশ করিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। কিন্তু শুরু থেকেই এতে আপত্তি তুলেছিলেন বিরোধীরা। এই বিল পাশ হলে সরকার বিরোধী যে কারও গায়ে সন্ত্রাসবাদী তকমা সেঁটে দেওয়া হবে এবং এই আইনের যথেচ্ছ অপব্যবহার হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু ধোপে টেকেনি তাঁদের আপত্তি। বলা বাহুল্য, এর পরে যে সরকারের কোনও জনবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করলেই তিনি সন্ত্রাসবাদীর তালিকাভুক্ত হবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নিন্দুকরা বলছে, গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ড যদি আরও পরে সংঘটিত হত তাহলে হত্যার দরকারই থাকত না, এই ইউএপিএ আইনের আওতায় এনে হয়তো প্রবীণ সাংবাদিককেই সন্ত্রাসবাদী বানিয়ে ছাড়ত কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।
ইউএপিএ বিল পাস সংক্রান্ত কারনে এ দিন রাজ্যসভায় ভোটাভুটি চলাকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘‘সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না। সন্ত্রাসবাদীরা মানবতা বিরোধী। তাই তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনে সমর্থন জানানো উচিত আমাদের সকলের।’’ তবে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে যাকে চিহ্নিত করা হচ্ছে, সেই চিহ্নিতকরণে যদি গলদ থেকে যায় তাহলে তা মানবতার বড়সড় বিপর্যয় হিসেবে একদিন পরিলক্ষিত হবে।