দিল্লি, ৩১ মে: আগামীকাল অর্থাৎ ১ জুন শেষ হচ্ছে তাঁর অন্তবর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ। ফলে শেষ দফা নির্বাচনের পরপরই জেলে ফিরতে হচ্ছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal)। অন্তবর্তী জামিনের মেয়াদ শেষের আগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেও, স্বস্তি পাননি কেজরিওয়াল। আবগারী দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে এবার জেলে ফিরতেই হচ্ছে। অন্তবর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে সাংবাদিক সম্মেলন করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের প্রচার করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে ২১ দিন সময় দিয়েছিল। সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে। ফলে ১ জুনের পর ২ তারিখ তাঁকে ফের জেলে ফিরতে হচ্ছে। তিহাড় জেলে তিনি ফিরছেন ঠিকই, কিন্তু কতদিন তাঁকে সেখানে থাকতে হবে, সে বিষয়ে কিছু জানেন না। যাঁরা তাঁকে জেলে পাঠাচ্ছেন, তাঁর আদতে কী চাইছেন, সে বিষয়ে তাঁর কোনও সম্যক ধারনা নেই। তবে দেশকে একনায়কের হাত থেকে রক্ষা করতে তিনি জেলে যাচ্ছেন। ফলে তিনি গর্বিত বলে মন্তব্য করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, জেলে যাওয়ার পর থেকে তাঁর ওজন কমতে শুরু করে। ৭০ থেকে তাঁর ওজন ৬৪-তে এসে দাঁড়িয়েছে। অন্তবর্তীকালীন জামিনে তিনি বাড়ি ফিরলেও, তাঁর ওজন বাড়েনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যেখাবে তাঁর ওজন কমে আর বাড়ছে না, তা কোনও অসুখের ইঙ্গিত। চিকিৎসকদের কথা অনুযায়ী, তাঁকে আরও কিছু পরীক্ষানীরিক্ষা করতে হত কিন্তু তা হচ্ছে না। রবিবার অর্থাৎ ২ জুন বিকেল ৩টে নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বেরোবেন জেলের উদ্দেশে বলে জানান কেজরিওয়াল।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এবার জেলে গেলে, তাঁর উপর আরও বেশি অত্যাচার করা হতে পারে কিন্তু তিনি মাথা নোয়েবেন না। তিনি যেখানেই থাকুন না কেন, দিল্লির উন্নয়ন কিছুতেই বন্ধ হতে দেবেন না বলে জানান কেজরিওয়াল। তিনি থাকাকালীন দিল্লি মানুষ যেভাবে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, ওষুধ পেয়েছেন, তা কোনওভাবে বন্ধ হবে না বলে কথা দেন কেজরিওয়াল। তবে আরও অনেক কাজ বাকি রয়েছে। তিনি জেল থেকে ফিরে মা এবং বোনেদের প্রত্যেক মাসে ১ হাজার টাকা করে ভাতা দেবেন বলেও জানান কেজরিওয়াল।
তাঁর মা অসুস্থ। ফলে মানুষ যাতে তাঁর মায়ের এবং পরিবারের খেয়াল রাখেন, জনসাধারণের কাছে সেই আবেদন করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।