দিল্লি, ১১ নভেম্বর: দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা থেকেই কি দিল্লি বিস্ফোরণের ছক তৈরি হয়? এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ১০ নভেম্বর যে গাড়িতে বিস্ফোরণ হয় দিল্লিতে, সেটি পুলওয়ামার এক চিকিৎসকের। অর্থাৎ দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা থেকেই কি দিল্লি বিস্ফোরণের গোটা পরিকল্পনা করা হয়, এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ওই গাড়িতে বিপুল বিস্ফোরক ছিল। তার জেরেই গাড়িতে বিস্ফোরণ হয় বলে জানা যাচ্ছে। ডক্টর উমর মহম্মদ নামে যে ব্যক্তির নামে এই গাড়ি নথিভুক্ত, সে ধৃত মুজ়াম্মিল সাকিল এবং ডক্টর আদিল রাঠেরের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা প্রাথমিক তদন্তে।
সূত্রের খবর, মধ্য দিল্লির যে কোনও জায়গায় এই বিস্ফোরণ হতে পারত। কারণ উমর মহম্মদ নামে চিকিৎসকের গাড়িটি দিল্লির লালকেল্লা থেকে সিটি সেন্টারের দিকে যাচ্ছিল। ফলে দিল্লিতে যে কোনও সময় যে কোনও জায়গায় ওই বিস্ফোরণটি হতে পারত বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
লালকেল্লায় যে বিস্ফোরণ হয়েছে সোমবার রাতে, সেখানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করে, বোমা তৈরি করে ওই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
দিল্লির পুলিশ কমিশনার সতীশ গোলচা জানান, সোমবার ৬.৫২ মিনিট নাগাদ সিগনালে খুব ধীর গতিতে একটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। সেই গাড়িতেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে যায়। ওই বিস্ফোরণের জেরে যেমন ৮ জনের মৃত্যুর খবর মেলে, তেমনি বেশ কয়েকজন আহও হন। যা নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে ছড়ায় চাঞ্চল্য।
রবিবার ফরিদাবাদের ধাউঞ্জ গ্রাম থেকে জম্মু কাশ্মীর এবং হরিয়ানা পুলিশের তরফে বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। ধাউঞ্জ গ্রামের যে দুটি বাড়ি থেকে কিলো কিলো বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে, সেই দুটি জায়গাই ধৃত মুজ়াম্মিল সাকিল নামে ওই চিকিৎসক ভাড়া নিয়েছিল বলেও খবর।