ভূবনেশ্বর, ২২ অক্টোবরঃ ওড়িশা (Odisha) এবং পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে ঘূর্ণিঝড় 'ডানা' (Cyclone Dana)। দুদিনের মধ্যেই দুই জেলায় আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড়। বঙ্গোপসাগরের (Bay of Bengal) উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপের উপর সজাগ চক্ষু দিয়ে রেখেছেন আবহবিদেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ২৪ অক্টোবর রাতে ওড়িশার পুরী এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূল অঞ্চলে ডানার 'ল্যান্ডফল' হবে। ঝড়ের গতবেশ থাকবে ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। ইতিমধ্যেই উত্তাল চেহারা নিয়েছে পুরীর সমুদ্র। পর্যটকদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বুধবারের আগেই পর্যটকদের পুরী ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন ওড়িশা মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি (Mohan Charan Majhi)। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ওড়িশা সরকার। তৈরি করা হয়েছে প্রায় ৮০০টি আশ্রয়কেন্দ্র।
মঙ্গলবার ওড়িশার রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী সুরেশ পূজারি জানান, তিনি এখনও অবধি ২৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে স্থানীয়দের সরিয়ে সেখানে আনার ব্যবস্থাও শুরু হয়েছে। দুর্গতদের জন্যে খাদ্য, জল, ওষুধ, বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও সেখানে মজুত রাখা হয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, ৮০০টি সাইক্লোন শেল্টার ছাড়াও স্কুল-কলেজ মিলিয়ে আরও ৫০০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের জেরে কোনরকম প্রাণহানি যাতে না হয় সেদিকটি নিশ্চিত করতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ১০০ শতাংশই খালি রাখার উপর জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ।
গর্ভবতী মহিলাদের নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছেঃ
ঘূর্ণিঝড় ডানা মোকাবিলার অঙ্গ হিসাবে রাজ্যের গর্ভবতী মহিলাদের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে ওড়িশা প্রশাসন। সেই তালিকার ভিত্তিতে তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া যাদের আগামী চার পাঁচ দিনের মধ্যে প্রসবের সম্ভাবনা রয়েছে তাঁদের একেবারে নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বাড়ি খালি করতে নারাজ অনেকেঃ
দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে ঘূর্ণিঝড়। এই দুর্যোগের দিনেও অনেকে বাড়ি ছাড়তে নারাজ। চুরি হওয়ার ভয়ে অনেকেই বাড়ি ছেড়ে বেরোতে চাইছেন না। যার ফলে পুলিশকে গ্রামগুলিতে টহল জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।