নতুন দিল্লি, ২৩ অগাস্ট: করোনার (Corona Virus) দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা সামলে উঠেছে দেশ। যদিও এখন দেশে গড়ে প্রতিদিন ২৫ হাজারের বেশি মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে সেই হাহাকারটা নেই। দিল্লি সহ দেশের বেশ কিছু রাজ্যে করোনার প্রকোপ অনেকটাই কমে এসেছে। তবে সাবধান, তাই বলে বিপদ এখনও কাটেনি। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা ইনস্টিটিউট বা NIDM সাবধান করে দিয়ে তাদের রিপোর্টে জানাল, আগামী অক্টোবরে পুজোর মাসেই করোনার তৃতীয় ঢেউ তুঙ্গে উঠবে। এই রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর দফতরে জমা দিয়েছে NIDM। কোভিডের তৃতীয় ঢেউ থেকে শিশুদের বাঁচাতে সচেতনতায় জোর দিতে বলা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত বিশেষ করে গ্রামে গ্রামে সচেতনতা শিবিরের দ্রুত প্রয়োজন আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও পড়ুন: দেশে নতুন করোনা রোগী ২৫,০৭২ জন, কমল দৈনিক মৃত্যু
প্রথম ঢেউয়ের পর দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে যেভাবে দেশ একেবারেই সতর্ক ছিল না, তা যেন আর না হয় সেটায় জোর দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় দেশে এই মুহূর্তের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো একেবারেই পর্যাপ্ত বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে NIDM রিপোর্টে। তার আগে অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন, ভেন্টিলেটার, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী সহ যাবতীয় পরিকাঠামো ঠিক করতে বলা হয়েছে এই রিপোর্টে। শিশুদের কাছে এই তৃতীয় ঢেউ সবচেয়ে বিপজ্জনক হতে পারে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
যদি কোভিডের তৃতীয় ঢেউতে যে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হবে তেমন প্রমাণ নেই। তবে NIDM এর রিপোর্টে বলা হয়েছে মতে, শিশুরা সেভাবে আক্রান্ত না হলেও, কোভিডের সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা নিতে পারে। পাশাপাশি, শিশুদের ক্ষেত্রে কো-মরবিডিটি অন্যতম বড় ফ্যাক্টর হতে পারে। সেক্ষেত্রে তাদের টিকাকরণ যত দ্রুত করা যায ততই ভালো। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, কোভিড আক্রান্ত শিশুদের ৬০ থেকে ৭০% কো-মরবিডিটি রয়েছে।