প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত ওয়েনাড় (Wayanad)। বাস্তুচ্যুত অসংখ্য মানুষ। মৃতের সংখ্যা পেরিয়েছে ৩০০-এর কোটা। আহত অনেকে। এই অবস্থায় রিলিফ ক্যাম্পে কোনওরকমে দিন কাটাচ্ছে এলাকার মানুষজনেরা। ওয়েনাড়ের সাংসদ তথা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা গতকালই ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলি পরিদর্শন করে এসেছেন। সঙ্গে অসহায় মানুষদের জন্য পৌঁছে দিয়েছেন ত্রাণ। সেই সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে ১০০ টি পরিবারের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাহুল। অন্যদিকে তিরুবনঅনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুরও (Sashi Tharoor) ত্রাণের ব্যবস্থা করেছেন অসহায়দের জন্য। এমনকী কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে ট্রাক থেকে ত্রাণের জিনিসপত্র নামাতে দেখা গেল শশী থারুরকে।

এই কঠিন সময়ে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, তামিলনাড়ু সহ একাধিক রাজ্য কেরলহবাসী পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া কেরল বিধানসভার সিপিএম বিধায়করা একমাসের ভাতা অনুদান হিসেবে দান করছেন। রাজ্যের বিধায়কদের ভাতা ৫০ হাজার টাকা করে। অর্থাৎ ৬২ জন বিধায়ক মিলে মোট ৩১ লক্ষ টাকা ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন এবং তাঁর স্ত্রী ৩৩ হাজার টাকা দিয়েছেন। রাজ্যের শাসক দল ত্রাণ তহবিলে ২৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে। এছাড়া বিরোধীরাও অনুদান দিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

ওয়েনাড়ের ভূমিধসে এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। সরকারের তরফ থেকে মৃতের সংখ্যা ৩১০ বলা হলেও বেসরকারি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে মৃতের সংখ্যা ৩৪০ ছাড়িয়েছে। আহত অনেকে। এখনও অনেকের দেহ কাঁদা থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে। নিখোঁজ অসংখ্য মানুষ। সব মিলিয়ে ওয়েনাড়ের অবস্থা এখনও স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার।