শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর থেকেই উশৃঙ্খল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ছাত্র আন্দোলনের সময়ে আন্দোলনের নামে একাধিক ভবন, মূর্তি ভাঙচুড় চালিয়েছিল আন্দোলনকারীরা। বাদ যায়নি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িও। তবে সেই ঘটনা বছরখানেক আগে হয়েছে। দেশে অন্তবর্তী সরকার চলছে। তারপরেও প্রতিবাদ তাঁদের থামেনি। আর এই প্রতিবাদের নামে হামেশাই হিন্দুদের মন্দির, দ্রষ্টব্য স্থানে ভাঙচুর চালাচ্ছে কিছু মানুষ। যেমন গত রবিবার প্রতিবাদের নামে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) পৈতৃক বাড়িতে ভাঙচুর চালাল একদল দুষ্কৃতি। সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে অবস্থিত এই বাড়িটি ঐতিহাসিক স্থান বলে পর্যটকরা মাঝেমধ্যেই ঘুরতে যান। রবিবারের হামলার পর আপাতত এই বাড়িতে প্রবেশ নিষেধ।

ঘটনার নিন্দা করেছে এপার বাংলার মানুষজনও

এই ঘটনা নিয়ে এদেশে শুরু হয়েছে নিন্দার ঝড়। কারণ ভারতে কবিগুরু যতটা সম্মানিত, ততটাই সমাদৃত বাংলাদেশেও। সেখানে তাঁর পৈতৃক ভিটের এমন হাল, মেনে নিতে পারছেন না অনেকে। যার ফলে কলকাতা সহ বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে এই নিয়ে প্রতিবাদ চলছে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করা এবং ইউনূস সরকারকে এই ঘটনার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বাধ্য যাতে করা হয়, সেই পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভিঁটেতে দুষ্কৃতি হামলা

প্রসঙ্গত, গত রবিবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভিঁটে ঘুরতে গিয়েছিলেন এক পর্যটক। গাড়ি পার্কিংয়ের টাকা নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসা হয়েছিল তাঁর। অভিযোগ, তাঁকে নাকি আটকে রেখে মারধর করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে কবিগুরুর বাসভবন থেকে কিছুটা দূরে মানব বন্ধন করে প্রতিবাদ করেন কিছু মানুষ। তাঁদের মধ্যেই একটি দল নিরাপত্তারক্ষীদের মারধর করে ভেতরে ঢুকে পড়ে। অভিযোগ, তাঁরা ভেতরে ঢুকে যথেচ্ছ ভাঙচুর চালায়। এই ঘটনা নিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে বাংলাদেশ সরকার।