CAG Report On GST Compensation Cess: জিএসটি-র ক্ষতিপূরণের অর্থ অন্যত্র ব্যবহার করে আইন ভেঙেছে মোদি সরকার, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট ক্যাগের

জিএসটি বলবৎ হওয়ার পরে প্রায় ২ বছর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার ভুলভাবে জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪৭.২৭২ কোটি টাকা ধরে রেখেছে। মূলত রাজ্যগুলির যদি রাজস্ব আদায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে ক্ষতিপূরণের জন্য এই টাকা দেওয়া হয়। যদিও ওই ৪৭.২৭২ কোটি টাকা কেন্দ্র অন্যত্র খরচ করে ফেলেছে, এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ করল ক্যাগ (CAG)। ক্যাগের রিপোর্ট বলছে, জিএসটির ৪৭,২৭২ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ ঘিরে কেন্দ্র নিজেই সিএফআইয়ের আইন ভেঙেছে। জিএসটি কমপেনসেশন সেস (GST Compensation Cess) ফান্ডে টাকা না পাঠিয়ে, সিএফআইতে এই টাকা ফেরত দিয়েছে সরকার। ২০১৭-২০১৮ এবং ২০১৮-১৯ সালের ঘটনা- যেখানে কেন্দ্র, ওই আর্থিক মূল্য অন্য খাতে ব্যবহার করেছে বলে ক্যাগের রিপোর্টে ধরা পড়ছে।

নির্মলা সীতারমণ (Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ২৫ সেপ্টেম্বর: জিএসটি বলবৎ হওয়ার পরে প্রায় ২ বছর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার ভুলভাবে জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ ৪৭.২৭২ কোটি টাকা ধরে রেখেছে। মূলত রাজ্যগুলির যদি রাজস্ব আদায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে ক্ষতিপূরণের জন্য এই টাকা দেওয়া হয়। যদিও ওই  ৪৭.২৭২ কোটি টাকা কেন্দ্র অন্যত্র খরচ করে ফেলেছে, এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পেশ করল ক্যাগ (CAG)। ক্যাগের রিপোর্ট বলছে, জিএসটির ৪৭,২৭২ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ ঘিরে কেন্দ্র নিজেই সিএফআইয়ের আইন ভেঙেছে। জিএসটি কমপেনসেশন সেস (GST Compensation Cess) ফান্ডে টাকা না পাঠিয়ে, সিএফআইতে এই টাকা ফেরত দিয়েছে সরকার। ২০১৭-২০১৮ এবং ২০১৮-১৯ সালের ঘটনা- যেখানে কেন্দ্র, ওই আর্থিক মূল্য অন্য খাতে ব্যবহার করেছে বলে ক্যাগের রিপোর্টে ধরা পড়ছে।

এইভাবেই ওই অর্থবর্ষে আর্থিক ঘাটতি কম দেখানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। যা কার্যত নির্দিষ্ট আইন লঙ্ঘন। জিএসটি কম্পেনসেশন সেস অ্যাক্ট আইন অনুযায়ী, গোটা বছরে যে শুল্ক সংগৃহীত হবে তা রাখা হবে জিএসটি কম্পেনসেশন ফান্ডে। যে অ্যাকাউন্টটি পাবলিক অ্যাকাউন্ট হিসাবে গণ্য হয়। খুব নির্দিষ্টভাবে আইনে বলা রয়েছে যে, এই অ্যাকাউন্ট থেকে রাজ্যগুলিকে তখনই টাকা দেওয়া হবে যদি তাদের রাজস্বে ঘাটতি পড়ে। কোভিড পরিস্থিতিতে সমস্ত রাজ্যই কেন্দ্রের কাছে এই রাজস্বের বিষয়টি জানিয়ে ক্ষতিপূরণ দাবি করে। এরপরই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ সংসদে ওই বার্তা রাখেন। ‘সিএফআই'(কনসলিডেটেড ফান্ড অফ ইন্ডিয়া) ছাড়া জিএসটির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনও আইন নেই। অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছেন বলে দাবিও করেন সীতারমণ। তারপরই ক্যাগের রিপোর্টে গরমিল ধরা পড়েছে। কেন্দ্র জিএসটি কমপেনসেশন ফান্ডে সংগৃহীত শুল্ক না রেখে ‘কনসলিডেটেড ফান্ড অফ ইন্ডিয়া’ বা সিএফআই-তে রাখে। যে ফান্ড থেকে সরকার অন্যত্র বহু ক্ষেত্রে টাকা খরচ করে ফেলেছে। এককথায় ক্ষতিপূরণ ঘিরে কেন্দ্র নিজেই সিএফআইয়ের আইন লংঘন করেছে। ক্যাগের এই রিপোর্ট পাওয়ার পর অর্থমন্ত্রক বিষয়টির যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। পাশপাশি, যোগ্য জায়গায় আর্থিক ট্রান্সফারের বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে কেন্দ্র। আরও পড়ুন-Bihar Assembly Elections 2020: করোনা আবহে বিহারে ৩ দফায় বিধানসভা নির্বাচন, নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন

জানা গিয়েছে, জিএসটি কমপেননশেন সেস ফান্ডে টাকা না পাঠিয়ে, সিএফআইতে এই টাকা ফেরত দিয়েছে সরকার। ২০১৭-২০১৮ এবং ২০১৮-১৯ সালের ঘটনা- যেখানে কেন্দ্র, ওই আর্থিক মূল্য অন্য খাতে ব্যবহার করেছে বলে ক্যাগের রিপোর্টে ধরা পড়ছে। এইভাবেই ওই অর্থবর্ষে আর্থিক ঘাটতি কম দেখানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। যা কার্যত নির্দিষ্ট আইনটি লঙ্ঘন করা।