Uttar Pradesh Assembly Election 2022: উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পাবে ২৩০ আসন, সপা-র ঝুলিতে ১৩০; বলছে সাট্টা বাজারের সমীক্ষা

নতুন দিল্লি, ১৯ জানুয়ারি: অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষা ইঙ্গিত দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে (Uttar Pradesh Assembly Election 2022) এবার বিজপির (BJP) কঠিন লড়াই। কারণ, বিজেপিকে কড়া টক্কর দিচ্ছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party)। তবে সাট্টা বাজারও (Satta Bazaar) বলছে অন্য কথা। সাট্টা কারবারিদের বক্তব্য, আসন কমলেও ইউপি-তে বিজেপিই ক্ষমতায় আসছে। আর সেটা ধরে নিয়েই চলছে বাজি ধরা। উত্তরপ্রদেশের হাপুড়-মিরাটের বুকিরা (Bookies) বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য ক্ষমতাসীন বিজেপির উপর বাজি ধরছে। মোট ৪০৩টি আসনের মধ্যে ২৩০টি আসন তারা দিচ্ছে বিজেপিকে। ১৩০টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সমাজবাদী পার্টি।

বুকিরা এখনও কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টিকে আসন কোনও দিচ্ছেন না। এই বিষয়ে তাঁরা বলছেন যে প্রাথমিক প্রবণতার ভিত্তিতেই বাজি ধরা চলছে এখন। নির্বাচন পর্বে পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে পারে। তাই এখনও পর্যন্ত বিজেপির পক্ষেই টাকা ঢালা হচ্ছে। সাট্টা বাজারের কারবারিরা বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুসারে, বিজেপি সরকার আবার ক্ষমতায় আসবে ঠিকই, তবে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ আসন কমবে। আরও পড়ুন: Aparna Yadav Joins BJP: ঘর ভাঙল মুলায়ম সিং যাদবের, বিজেপিতে যোগ দিলেন পুত্রবধূ অপর্ণা যাদব

কপিল নামে এক বুকি বলেন, "যদিও অনেক কিছু বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়েছে। কিন্তু তারা সেই সব কাটিয়ে উঠতে চলেছে। বিজেপি কৃষি আইনগুলি প্রত্যাহার করেছে। লখিমপুর খেরির ঘটনাটিও গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে ছিল৷ তবে আমরা দেখতে পেয়েছি যে তারা এটিও কাটিয়ে উঠতে চলেছে৷ আমাদের সমীক্ষা অনুযায়ী তারা প্রায় ২৩০টি আসন জিতছে। সমাজবাদী পার্টি ১৩০টি আসন জিতেছে। নির্বাচন পর্বে এই সংখ্যার পরিবর্তন হতে পারে। তবে খুব বেশি কিছু পরিবর্তন হবে না।"

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক বুকি বলেছেন যে এখন পর্যন্ত তাঁরা বিজেপি এবং এসপি জিততে চলেছে, এমন আসনের সংখ্যা নিয়ে বাজি ধরছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের পরবর্তী পর্বে বাকি বিষয়গুলি পরিষ্কার হবে। আমরা এখনও পর্যন্ত বিজেপির জন্য ১ হাজার টাকায় ১ হাজার টাকা অফার করছি। নির্বাচনের প্রথম পর্বের পরে প্রবণতার উপর নির্ভর করে এই বাজি ১ হাজার থেকে ৫ হাজার বা ১০ হাজারে যেতে পারে।"

বুকিরা বলেছেন যে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে বাজি ধরছেন না। কারণ, ক্ষমতায় আসা দলের পছন্দ অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর নাম পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।