দিল্লি, ১২ অক্টোবর: কেরলে (Kerala) দুই মহিলাকে অপহরণ এবং খুন (Murder) কীভাবে হল, তা নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কেরলে দুই মহিলাকে অপহরণেরপর নরবলি দেওয়া হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে। যার জেরে অভিযুক্তদের গ্রেফতারির পর আদালতে তোলা হয়, ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেরলে দুই মহিলাকে নরবলি দেওয়ার অভিযোগ যখন উঠে আসতে শুরু করে, তা নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আসে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পদ্মা এবং রসলিনকে অপহরণের পর শক্ত করে তাঁদের হাতে বাধা হয়। শ্বাসরোধ করে খুনের আগে, প্রথমে ওই দুই মহিলার স্তন কেটে ফেলা হয়। পদ্মা এবং রসলিনের স্তন কেটে ফেলার পর তাঁদের শরীর থেকে রক্ত বের হতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, অপহৃত এক মহিলার দেহের ৫৬ টুকরো করা হয়। এরপর গর্ত করে পুঁতে দেওয়া হয় অপহৃত মহিলার দেহ। রসলিনের দেহের অংশ তাঁর বাড়ির পাশের গর্ত থেকে উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে পদ্মার শরীরের বিভিন্ন অংশ তাঁর বাড়ির পাশের তিনটি গর্ত থেকে করা হয় উদ্ধার।
আরও পড়ুন: Kerala: ২ মহিলাকে অপহরণের পর 'নরবলি', পুলিশি তদন্তে আতঙ্ক কেরলে
কোচি পুলিশের (Police) আধিকারিক জানান, সফি নামে যে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে, সেই ব্যক্তি যৌন হেনস্থায় একাধিকবার অভিযুক্ত। ধর্ষণের অভিযোগও রয়েছে সফির বিরুদ্ধে। সফির পাশাপাশি ভগবল সিং এবং লীনা নামে যে দম্পতিকে আটক করা হয়েছে, তাদের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে অন্য তথ্য। জানা যায়, নিজেকে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করতেই ভগবল সিং এবং লীনা নামে ওই দম্পতি রসলিন এবং পদ্মার নরবলি দিয়ে তাদের মাংস রান্না করে খাওয়া শুরু করে।
পদ্মা এবং রসলিন নামে ওই দুই মহিলাকে প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে অপহরণ করা হয়। তারপর এর্নাকুলাম থেকে অপহৃত দুই মহিলাকে তিরুভালায় নিয়ে গিয়ে সেখানে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান। এক দম্পতি প্রলোভন দেখিয়ে পদ্মা এবং রসলিনকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ।
চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর অপহরণ করা হয় পদ্মকে। ওই মহিলাকে খুুঁজতে গিয়ে জানা যায়, জুন মাসে কেরলের কালাডি থেকে রসলিন নামে আরও একজনকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর ওই দুই মহিলার গলা প্রথমে চিরে ফেলা হয়। এরপর ওই অবস্থায় তাঁদের মাটির দেহ মাটির নীচে পুঁতে রাখা হয়। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যেই ওই দুই মহিলাকে বলি দেওয়া হয় বলে জানা যায়।