হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যে বড় ব্যবধানে বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছে বিজেপি। কংগ্রেসের থেকে অনায়াসে রাজস্থান ও ছত্তিশগড় ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি সহজেই মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা ধরে রেখেছে পদ্ম শিবির। তবে জয়ের পর বিজেপির সুখি সমস্যা চলছে। তিন রাজ্যেই মুখ্যমন্ত্রী পদে একাধিক দাবিদার। মুখ্যমন্ত্রী হতে সবাই দরবার করছেন অমিত শাহ জেপি নাড্ডা-র কাছ। সবারই দাবি, তাঁরাই মুখ্যমন্ত্রী পদের যোগ্য প্রার্থী। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশের মত ছত্তিশগড়ের মত ছোট রাজ্যেও সেই এক দাবি। এমন অবস্থায়, তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাছার প্রক্রিয়ায় তিন জন করে একটি পর্যবেক্ষক কমিটি গড়ল বিজেপি। পর্যবেক্ষক কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই বেছে নেওয়া হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।

রাজস্থানে পর্যবক্ষেক হিসেবে রাখা হল কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, দলের সাধারণ সচিব বিনোদ তাওয়াদে এবং রাজ্যসভার সাংসদ সরোজ পান্ডে-কে। মধ্যপ্রদেশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হরিয়ানা মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টার, দলের ওবিসি শাখার সভাপতি কে লক্ষ্মণ ও রাঁচির মেয়র তথা সাধারণ সচিব আশা লাকরা-কে। ছত্তিশগড়ে মুখ্যমন্ত্রী বাছার পর্যবক্ষেক দলে আছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা, অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল এবং দলের সাধারণ সম্পাদক দুষন্ত গৌতম।

হিন্দি বলয়ের এই তিন রাজ্যে মখ্যমন্ত্রী বাছতে বিজেপি সবচেয়ে বড় জটিলতার মধ্যে পড়েছে রাজস্থানে। মরু রাজ্যে বিজেপির বড় জয়ে সবাই দল বেঁধে ঝাপিয়েছিলেন। এবার এখান থেকে ম্যান অফ দি ম্যাচ বাছতে সমস্যায় গেরুয়া শিবির। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন সাংসদ দিয়া কুমারী। তিনি ৭৪ হাজার ভোটে জিতে নজির গড়েছেন। অমিত শাহ-র পছন্দের তালিকায় আছেন। সাংসদ পদও তাঁকে ছাড়তে বলা হয়েছে। কিন্তু এরপর ছোট যোগী আদিত্যনাথ হিসেবে পরিচিত বাবা বালাক নাথ রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী পদের বড় দাবিদার হয়ে উঠেছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিংহাসন ফিরে পেতে মরিয়া চেষ্টা করছেন। মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার আরও দুই বিজেপি নেতা-সাংসদের মধ্যে চলেছে।

মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শিবরাজ সিং চৌহানের ফেরা ক্রমশ কঠিন মনে হচ্ছে। বরং কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী পদ ছাড়া নরেন্দ্র সিং তোমারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় দিমানি কেন্দ্র থেকে ৭৯ হাজার ভোটে জেতার পর সাংসদ পদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পদ ছেড়েছেন তোমার।