
শুক্রবারও আহমেদাবাদের হাসপাতালের মর্গের বাইরে ভিড়, হাহাকার আর পুলিশি ঘেরাটোপ। একদিকে আত্মীয়দের কান্না, অন্যদিকে নিথর দেহ। আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের ভেতরে চলছে দেহ শনাক্তের প্রক্রিয়া, কিন্তু বেশিরভাগ দেহ এতটাই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে যে, চেহারা দেখে চেনার উপায় নেই। একমাত্র ভরসা ডিএনএ টেস্ট। গতকাল থেকে আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের পোস্টমর্টেম রুমে ৭০ থেকে ৮০ জন ডাক্তারের একটি দল কাজ করছে। এখন পর্যন্ত পাঁচটি মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে, যাদের পূর্ণ সম্মানের সঙ্গে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।এর মধ্যে দুটি মৃতদেহ রাজস্থানের, দুটি ভাবনগরের এবং একটি র।
আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের বাইরের ছবিঃ
अहमदाबाद के सिविल अस्पताल में पोस्टमॉर्टम रूम में बीते दिन से 70 से 80 डॉक्टरों की एक टीम काम में जुटी हुई है।
अब तक पांच शवों की शिनाख्त हो चुकी है, जिन्हें पूरे सम्मान के साथ उनके परिवार वालों को सौंप दिया गया है।
इनमें से दो शव राजस्थान, दो भावनगर के और एक मध्य प्रदेश का है। pic.twitter.com/suVWFMymJQ
— Indian Gentleman Ji 🇮🇳 (@IndGentlemanJi) June 13, 2025
৩৮ বছরের জুনেইদ মহম্মদ নানাভালা, তাঁর স্ত্রী আকিল এবং তিন বছরের কন্যা সানা, তিনজনই বৃহস্পতিবার ছিলেন আমদাবাদের ওই বিমানে। লন্ডন থেকে এ দেশে ফিরেছিলেন ইদের আনন্দ ভাগ করে নিতে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছিলেন, হাসি-আনন্দে ভরপুর মুহূর্ত বন্দি করেছিলেন ক্যামেরায়। কেউ জানত না, সেটাই তাঁদের জীবনের শেষ ইদ।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দেখা গিয়েছে, আমদাবাদের বিখ্যাত বি.জে. মেডিক্যাল কলেজে তৈরি হওয়া ডিএনএ সংগ্রহ কেন্দ্রের এক কোণে বসে রয়েছেন জুনেইদের বাবা আবদুল্লাহ মহম্মদ। চোখে-মুখে যন্ত্রণার ছাপ স্পষ্ট। স্তব্ধ, নির্বাক। 'গত শুক্রবার এসেছিল ছেলেটা, ইদে সারপ্রাইজ দিতে,' বলেন তিনি। 'আমরা সবাই খুব খুশি হয়েছিলাম। একসঙ্গে ইদ কাটালাম, অনেক ছবি তুলল, হেসে খেলে গেল কয়েকটা দিন। কে জানত, এইভাবে চলে যাবে...!'
আবদুল্লাহর সঙ্গে এসেছেন সুরতের রামপুরা এলাকার আরও ২০-২৫ জন আত্মীয়। তাঁদের একটাই লক্ষ্য, জুনেইদের দেহ শনাক্ত করতে রক্ত দিয়ে ডিএনএ মিল করানো।