শুক্রবার দুপুরে উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় লাইনচ্যুত হয় চণ্ডীগড়-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস (Chandigarh-Dibrugarh Express)। এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২০ জনের মতো। এখনও জারি রয়েছে উদ্ধারকাজ। অন্যদিকে এই ট্রেনে যাঁরা সফর করছিলেন তাঁদের জন্য আজ সন্ধ্যায় মনকাপুর স্টেশন থেকে বিশেষ রেলের ব্যবস্থা করল রেল কর্তৃপক্ষ। জানা যাচ্ছে এই বিশেষ ট্রেনে মাধ্যমে যাত্রীদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে যাঁরা আহত রয়েছেন তাঁদের এখনও হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়নি এবং মৃতদের দেহ এখনও তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। এই দুর্ঘটনা নিয়ে একটি ভয়াবহ তথ্য সামনে আসছে। দুর্ঘটনার ঠিক কয়েক সেকেন্ড আগে গাড়ির চালক, লোকো পাইলট সহ একাধিক যাত্রী একটি বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পায়। যে কারণে এখন এই দুর্ঘটনার পেছনে নাশকতার তত্ত্ব সামনে আসছে।

এক যাত্রী বলেন, দুর্ঘটনা ঠিক আগেই এক বিকট শব্দ শুনতে পান অনেকে। তারপরেই তাঁরা দেখেন ট্রেনটি ধীরে ধীরে একদিকে হেলে যাচ্ছে। এরপর সমস্ত যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে হুড়োহুড়ি করতে শুরু করেন। অনেকে নিজেদের ব্যাগপত্র নিয়ে গাড়ি থেকে বেরোতে শুরু করে। রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে এদিন ২টো ৩৭ মিনিট নাগাদ মতিগঞ্জ ও ঝিলহি স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনাটি ঘটে। লাইনচ্যুত হয়েছে কমপক্ষে ১৫টি বগি। বর্তমানে যু্দ্ধকালিন তৎপরতায় চলছে উদ্ধারকাজ। এই দুর্ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ ব্যহত রয়েছে এই লাইনে ট্রেন চলাচল।

ইদানিং হামেশাই ট্রেন দুর্ঘটনার খবর সামনে আসছে। বছরখানেক আগে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার ঘা এখনও দগদগে রয়েছে। এছাড়া চলতি বছরে কাঞ্চনঝঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ঘটনাও হয়েছে। সবমিলিয়ে এই রেল দুর্ঘটনা নিয়ে মোদী সরকার বিরোধীদের কড়া সমালোচনা মুখে পড়ছে। অনেকেই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের দাবি করছেন। কিন্তু এতকিছুর পরেও এই দুর্ঘটনাগুলি নিয়ে নীরব মোদী-শাহরা।