বুধবার লোকসভায় ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এই বিল পেশ হতেই উত্তাল প্রবল বিরোধীতা শুরু করেন বিরোধীরা। প্রবল হই-হট্টোগোলের মধ্যে বিল পেশ হয়। এবং পরবর্তীতে সেটি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। এই সংশোধীত বিল অনুযায়ী দেশের প্রধানমন্ত্রী, কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা যে কোনও মন্ত্রী যদি কোনও মামলায় ৩০ দিন জেলবন্দি থাকে, তাহলে ৩১ তম দিনে মন্ত্রিত পদ খোয়াতে হবে তাঁকে। বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হওয়ার পরেও জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
বিজেপিকে নিশানা অভিষেকের
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এই বিলের বিরোধীতা করেছেন। তাঁর অভিযোগ এভাবে বিরোধী নেতা মন্ত্রীদের নিজের দলে নিয়ে এসে বিরোধীশূণ্য করতে চাইছে মোদী সরকার। তিনি বলেন, “তৃতীয়বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসে মোদী সরকারের যে ক্যাবিনেট সেখানে ২৮ জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কেস রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৯ জনের বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ, নারী নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এই বিল পাশ হলে কী তাঁদের ওপরেও কার্যকর হবে”?
দেখুুন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য
VIDEO | Addressing the media, TMC MP Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) slams the Centre over the Constitution (One Hundred and Thirtieth Amendment) Bill, 2025, which seeks the removal of the Prime Minister, Chief Ministers, and Union Ministers if they are arrested and detained… pic.twitter.com/iWKlwA9c6D
— Press Trust of India (@PTI_News) August 20, 2025
হেমন্ত, শুভেন্দুদের আক্রমণ অভিষেকের
অভিষেক আরও বলেন, “২০২৪ থেকে ২৫ জন বিরোধী নেতা যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি সহ একাধিক অভিযোগের তদন্ত করছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি, তাঁদের মধ্যে ২৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্তপ্রক্রিয়া থমকে গেছে। ফলে বিজেপির লক্ষ্য কী এই বিল এনে দুর্নীতি বন্ধ করা, নাকি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে হেনস্থা করে দেশকে বিরোধীশূন্য করা? বিজেপির উদ্দেশ্য যদি সঠিক হত, তাহলে হেমন্ত বিশ্বশর্মা, শুভেন্দু অধিকারী, অজিত পাওয়ারের মতো নেতারা বিজেপি গিয়ে পার পেত না”।