বকেয়া ফি জমা পড়েনি, পড়ুয়ার হাতে স্ট্যাম্প বসিয়ে কাঠগড়ায় স্কুল
এই সেই স্ট্যাম্প(Photo Credit: Facebook)

কলকাতা, ২৭ মে:  স্কুলের ফি সময়মতো দিতে পারেননি অটো চালক বাবা, তাই পড়ুয়ার হাতে স্ট্যাম্প মেরে ফি-এর কথা মনে করিয়ে দিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় শিশু অধিকার ক্ষুন্নের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে লুধিয়ানায়।

জানা গিয়েছে, ওই পড়ুয়ার নাম হর্ষদীপ সিংহ।সে স্থানীয় মুনদিয়ান কালান(Mundian Kalan ) এলাকার এসডিএফ স্কুলের ছাত্র। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে হর্ষদীপ(Harshdeep Singh), তার বাবা কুলদীপ সিংহ একজন অটোচালক।বকেয়া ফি-র জন্য হাতে স্ট্যাম্প মারার ঘটনা এসে বাবাকে জানায় হর্ষদীপ। তারপরই স্কুলে ছেলেকে হেনস্থা করার অভিযোগ আনেন তিনি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে হর্ষদীপের বাবা কুলদীপ বলেছেন, ‘‘ফি-এর কথা জানাতে কাগজে লিখেও জানাতে যেত। কিন্তু শিক্ষকদের উচিত হয়নি ছেলের হাতে স্ট্যাম্প দেওয়া। এটা করার অধিকার নেই তাঁদের।’’ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সেখানকার জেলা শিক্ষা আধিকরিক। এই ঘটনার জন্য ওই স্কুলের প্রিন্সিপালকেও সমন পাঠিয়েছে পঞ্জাব শিশু অধিকার কমিশন।

এই প্রসঙ্গে লুধিয়ানার জেলা শিক্ষা আধিকারিক স্মরণজিৎ কৌর বলেছেন, ‘‘এই ঘটনা নিয়ে আমরা প্রাথমিক তথ্য পেয়েছি। ঘটনার তদন্তের পর স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ কমিশনের চেয়ারম্যান সুকেশ কালিয়া বলেছেন, ‘‘আমরা ওই স্কুলের প্রিন্সিপালকে ডেকে পাঠিয়েছি। আইন অনুযায়ী, স্কুলের ফি নিয়ে কর্তৃপক্ষ অভিভাবকের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। কিন্তু ছাত্রের সঙ্গে করা আইন বিরুদ্ধ। তাছাড়া হাতে স্ট্যাম্প মারার ঘটনায় শিশু অধিকারও ভঙ্গ হয়েছে।’’

যদিও এমন অভিযোগ উড়িয়ে স্কুলের প্রিন্সিপাল শ্যামা দুগ্গালের(school principal Shama Duggal) দাবি, হর্ষদীপ হাতে ট্যাটু করতে চেয়েছিল, তাই তার হাতে স্ট্যাম্প বসানো হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনা জানাজানি হতেই স্কুলে এসে অভব্য আচরণ করেছেন হর্ষদীপের বাবা কুলদীপ সিংহ। এমনকী, ওই পড়ুয়ার দিদি আগে এই স্কুলে পড়ত, তার ফি এখনও বকেয়া পড়ে আছে। যদিও গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাজ্যের শিশু অধিকার রক্ষায় কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি।