দিল্লি, ৬ নভেম্বর: বেলা আড়াইটেয় ২৭৯ ও রাত দশটায় ২৫০, জোড়-বিজোড় নীতির তৃতীয় দিনেও রাজধানীর দূষণ দশ বেহালই বলা যেতে পারে। অন্তত লোধী রোডের এই দূষণ চিত্র তারই প্রমাণ বয়ে নিয়ে চলেছে। ইন্ডিয়া গেট-সহ রাজধানীর আকাশ ঢেকে রেখেছে ধোঁয়ার আস্তরণ। সবমিলিয়ে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে অস্বাস্থ্যকর বিভাগেই পড়ছে রাজধানীর দূষণ মাত্রা। যদিও গতকাল পর্যবেক্ষকদের দাবি অনুযায়ী, সামান্য হলেও দিল্লির বাতাসে দূষণের (Delhi Air Quality) পরিমাণ কিছুটা কমেছিল। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স রিপোর্ট (AQI) বলছে, গতকাল বেলা আড়াইটের সময় দূষণ মাত্রা ছিল ৫০০। রাত দশটা নাগাদ তা কমে হয় ৪১৩। লোধী রোডের যখন এমন বেহাল দশা তখন রাজধানীর বাকি অংশের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম।
গুরুগ্রামের (Gurugram) পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। তবে এ দৃশ্য নতুন কিছু নয়। গত তিন বছর ধরে এই সময়টায় রাজধানীর বায়ু দূষণ মাত্রা বিপদ সীমার উপরে বইতে থাকে। দূষণের চাপে রাজপথের দৃশ্যমানতা কমে আসে। সাত সকালে রেল, সড়ক ও বিমান পরিবহণ একপ্রকার বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার এই জোড়-বিজোড় নীতির গাড়ি নিয়েই গোল বেঁধেছিল। রাস্তায় বিজোড় নম্বরের গাড়ি বের করে ট্রাফিক আইন ভেঙে ফেলেন বিজেপি নেতা বিজয় গোয়েল। তিনি তো নিজের দোষ মানতেই চাননি। উল্টে আপ সরকারকে তুলোধনা করে বলেন, এই যখন দূষণ কমানোর পন্থা তাহলে প্রতিবেশী রাজ্যের কৃষকদের কেন দায়ী করা হচ্ছে, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। শুধু তাই নয় স্বচ্ছন্দে জরিমানাও দিতে রাজি হয়ে যান বিজয় গোয়েল। আরও পড়ুন-Delhi Odd-Even Rule: জোড়-বিজোড় নীতির দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীতে দূষণমাত্রা বিপজ্জনক, কেমন আছেন বাসিন্দরা?
Delhi: Major pollutants PM 2.5 at 279 & PM 10 at 250, both in 'poor' category in Lodhi Road area, according to Air Quality Index (AQI) data. pic.twitter.com/N0Uhc9hCnQ
— ANI (@ANI) November 6, 2019
গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত স্কুল কলেজ ছুটি থাকলেও আজ রাজধানীর পড়ুয়ারা বাড়ির বাইরে পা দেবে। এদিকে দূষণের ভয়াবহতা থেকে এখনও মুক্তি পায়নি গোটা দিল্লি। অভিভাবকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। শ্বাসকষ্ট এড়াতে মুখে মাস্ক জরুরি হয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যেই দূষণ জনিত সমস্যা নিয়ে রাজধানীর হাসপাতালেগুলিতে রোগীর লাইন দীর্ঘ হচ্ছে।