
নেহেরু বিহার এলাকায় নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার এক বছর ৩৫-এর ব্যক্তি। গত ৩ এপ্রিল ঘটনাটির পর দয়ালপুর থানায় (Dayalpur Police Station) অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নির্যাতিতার পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। যদিও অভিযুক্ত বিপদ বুঝে নিজেকে একমাসের বেশি সময় ধরে আড়াল করে রেখেছিল। কিন্তু অবশেষে মেলে সাফল্য। শুক্রবার পুলিশের জালে ধরা পড়ে অভিযুক্ত দানিশ। পুলিশি জেরায় সে নিজের দোষ শিকার করেন। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে অতীতেও নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। এদিন পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইন ও ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে দয়ালপুর থানার পুলিশ।
পুলিশি তৎপরতায় গ্রেফতার অভিযুক্ত
পুলিশসূত্রে খবর, অভিযুক্ত পেশায় সে একজন রংয়ের মিস্ত্রি। ঘটনার পর নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। তবে অভিযুক্তের কোনও খোঁজ মেলে না। যার ফলে ওই এলাকা এবং তার লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়। কমপক্ষে ২৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরায় প্রতিনিয়ত নজরদারি চলত। সেই সঙ্গে বিগত ৫ বছরের অপরাধমূলক নথিপত্র খতিয়ে দেখা হত। এবং তখনই জানা যায় জাফরাবাদ থানায় একই রকমের অভিযোগ কয়েকবছর আগে দায়ের হয়েছিল। সেখানেও এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে পালিয়েছিল এক অভিযুক্ত। এরপরই তল্লাশি অভিযান চালানোর পর হদিশ মেলে দানিশের।
এপ্রিল মাসে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে
পরিবারের অভিযোগ ছিল গত ৩ এপ্রিল বিকেলে নেহেরু বিহারে গলি নম্বর ১১-তে নির্যাতিতাকে পরিবারের অজান্তে এক ব্যক্তি বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে যখন খোজাখুঁজি শুরু হয় তখন তাঁকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় সে খুব কান্নাকাটি করছিল। এরপর নির্যাতিতা তাঁর মাকে ঘটনার বিবরণ দেয়। ওইদিন রাতেই পুলিশের দারস্থ হন নির্যাতিতার পরিবার। দয়ালপুর থানায় অভিযোগ দায়েরের পর শুরু হয় তদন্ত। অবশেষে শুক্রবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।