ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে মণিপুর (Manipur)। ২০২৩ সালে জাতিগত সংঘর্ষের পর থেকে এখনও পর্যন্ত থমথমে রয়েছে মণিপুরের বিভিন্ন জেলা। এরমধ্যেই বিভিন্ন জায়গা থেকে হামেশাই উদ্ধার হচ্ছে অস্ত্র, গোলাবারুদ। ২৩-এর দিকে মণিপুর পুলিশের অস্ত্রাগার লুঠ হয়েছিল। সেই সময় থেকেই লুঠ হওয়া ৬ হাজার অস্ত্র ও লক্ষাধিক গোলাবারুদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। চলতি বছরের ১৪ জুন তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার হয়েছিল অসংখ্য বন্দুক ও অস্ত্রশস্ত্র। সেই অভিযান এখনও অব্যাহত। গত ৩ জুলাই মধ্যরাত থেকে ৪ জুলাই ২০২৫ সকাল পর্যন্ত, যৌথ বাহিনী মণিপুরের পার্বত্য জেলাগুলিতে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালায়। আর তাতেই মেলে সাফল্য।

তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার অস্ত্র

জানা যাচ্ছে, এই অভিযানে ২১টি ইনসাস রাইফেল, ১১টি একে সিরিজের রাইফেল, ২৬টি এসএলআর, ২টি স্নাইপার রাইফেল, এম ৭৯ গ্রেনেড লঞ্চার সহ মোট ২০৩টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে নাইন এমএম পিস্তল, দেশীয় পিস্তল সহ একাধিক অস্ত্র। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে গ্রেনেড, আইইডি উদ্ধার হয়েছে এই অভিযানে। পুলিশসূত্রে খবর, গত ৩ জুলাই থেকে অসম রাইফেল, ভারতীয় সেনা, সিআরপিএফ ও মণিপুর পুলিশের যৌথ অভিযান চলে তেংনৌপাল, কাংপোকপি, চান্দেল এবং চুরাচাঁদপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

মণিপুরে প্রধানমন্ত্রীর সফরের পরিকল্পনা

সূত্রের খবর, জুলাই মাসেই মণিপুর আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২৩-এর সংঘর্ষের পর এই প্রথম মণিপুর যেতে চলেছেন তিনি। যদিও এখনও প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রক বা দলের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে কিছুই বলা হয়নি। তবে তাঁর সফরের আগে এত পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার হওয়া নিঃসন্দেহে মাথাব্যাথার কারণ। তবে এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।