ফরিদাবাদের (Faridabad) বাসিন্দা তাহির, পেশার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই সৌদি আরবে থাকেন। আর তাঁর অনুপস্থিতিতেই দশ মাস আগে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল তাঁর ১৭ বছরের মেয়ে পারভিনা। এমনকী এতদিন ধরে তাহিরের স্ত্রী অনিতা বেগম বিষয়টি লুকিয়েও রেখেছিলেন। শেষেমেশ তাঁর সন্দেহ হওয়ায় ফরিদাবাদ পুলিশকে মেল মারফত অভিযোগ জানায়। তারপরে রবিবার পুলিশ এসে বাড়ির মধ্যে থাকা ফাঁকা জমি থেকে মেয়েটির মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্যা পাঠিয়ে দেয়। গ্রেফতার করা হয় নাবালিকার মাকে। সন্দেহ করা হচ্ছে নিজের মেয়েকে খুন করে করব দিয়েছেন তিনি। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই মহিলা।

অনিতা বেগম জানিয়েছেন, দশ মাস তাঁর মেয়ে পালাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে। তারপর সে জানায় একটি যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছে এবং তাঁকে বিয়ে করতে চায়।  এই নিয়ে মা ও মেয়ের মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়। শেষে পারভিনাকে অন্য একটি ঘরে বন্দি করে ঘুমোতে যায়। পরে ওই ঘরে গিয়ে দেখে সে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু পরিবারের মান সম্মানে নষ্ট হওয়ার ভয়ে সে ঘটনাটি লুকিয়ে রেখে পরিচিত দুই ব্যক্তির সাহায্যে বাড়ির জমিতেই মেয়ের দেহ কবর দেয়।

যদিও তাঁর এই দাবি বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেই কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশসূত্রের খবর, স্বামীর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক ভালো ছিল না ওই মহিলার। স্বামী সন্দেহ করতেন তাঁর স্ত্রী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত। সেই বিষয়টি জেনে ফেলার কারণে নিজের মেয়েকে খুন করে অনিতা বেগম। আপাতত দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকেই পরিস্কার হবে এটা খুন নাকি আত্মহত্যা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।