কলকাতা, ৫ অক্টোবর: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত গায়ক অভিনেতা শক্তি ঠাকুর (Shakti Thakur)। বাবার মৃত্যুতে শোকবিহ্বল বড় মেয়ে মেহুলি ঠাকুর লিখলেন, “আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম যে বাবা মায়েরা একদিন চলে যায়.... জীবনে কোনোদিনও স্মশানে আসিনি.... আজ সবই জীবনে প্রথম বার...... বাবা ছাড়া আজ থেকে নতুন জীবন........ তুমি কি কোনোদিনও কোনো পাপ করোনি বাবা?..... নইলে এভাবে দুঘন্টার মধ্যে কে চলে যায়? "ধুর আর ভাল্লাগছেনা" বলে চলে গেলে...... সব কিছুতেই তাড়াহুড়োর জন্য কত বকাবকি করতাম...... আজ চলে যাওয়ার সময়ও এমন অদ্ভুত তাড়াহুড়ো কে করে বাবা?.....আমি তো তোমার কার্বন কপি.... আমিও তোমারি মতন তাড়াহুড়ো করে চলে যাবো দেখো......... কষ্টটা লিখে ফেলতে পারলে বোধহয় নিঃশ্বাস নিতে পারতাম.....”
আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম যে বাবা মায়েরা একদিন চলে যায়.... জীবনে কোনোদিনও স্মশানে আসিনি.... আজ সবই জীবনে প্রথম বার.........Posted by Mehuli Goswami Thakur on Sunday, 4 October 2020
মৃত্যুকালে শক্তি ঠাকুরের বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। শেষ সময়ে বড় মেয়ে মেহুল পাশে থাকলেও ছোট মেয়ে সংগীত শিল্পী মোনালি ঠাকুর কিন্তু দূরদেশে। বাবাকে শেষ দেখা হল না তাঁর। ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি প্লেব্যাকও করেছেন শক্তি ঠাকুর। উৎপল দত্ত, বিকাশ রায়ের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তাঁর ছোট মেয়ে মোনালী ঠাকুরও বাংলা ও হিন্দি গানের জগতে এক উজ্জ্বল নাম। প্রথম জীবনে শক্তি ঠাকুর ছিলেন স্কুল শিক্ষক। অঙ্ক ছিল তাঁর প্রিয় বিষয়। ১৯৭৬-এ তপন সিংহের 'হারমোনিয়াম' ছবিতে নেপথ্য শিল্পী হিসেবে গানের দুনিয়ায় প্রথম পা রাখেন তিনি। তারপর আর তাঁকে ফিরে তাকাতে হয়নি। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় শক্তি ঠাকুরকে দিয়ে তাঁর সুর করা বেশ কিছু বাংলা ছবিতে গান গাইয়েছেন। পাশপাশি, তিনি অভিনয় করেছেন তরুণ মজুমদারের 'দাদার কীর্তি', ‘ভালবাসা ভালবাসা’ ছবিতে। এই ছবিতে অভিনয়ের সঙ্গে কোরাসে গলাও মেলান। অজয় দাস, আর ডি বর্মনের সুরেও গান গেয়েছেন শক্তি ঠাকুর। আরও পড়ুন-JEE Advanced Result 2020: চলতি বছরের জয়েন্টের অ্যাডভান্স ফলাফল প্রকাশ করল আইআইটি দিল্লি, ফল জানতে লগ ইন করুন jeeadv.nic.in
করোনাকালে সুইৎজারল্যান্ডে আটকে মোনালী। বাবার শেষকৃত্যের পর ভেঙে পড়েছেন বড় মেয়ে মেহুলী ঠাকুর। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর আবেগতাড়িত পোস্ট নেটিজেনদের চোখে জল এনে দিয়েছে।