কলকাতা: টলিউড (Tollywood) ইন্ডাস্ট্রিতে মঙ্গলবারও অচল অবস্থা জারি। টেকনিশিয়ানদের অনির্দিষ্ট কালের কর্মবিরতিতে থমকে গিয়েছে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি। সোমবার সকাল থেকে অচল রয়েছে টলিপাড়া, বন্ধ রয়েছে সমস্ত সিনেমা ও সিরিয়ালের শুটিং। পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়কে ঘিরে শুরু হওয়া বিতর্ক এখন বেশ বড় ঘটনায় পরিণত হয়েছে। টেকনিশিয়ানরা পরিচালক রাহুলের সঙ্গে কাজ করবেন না, এই সিদ্ধান্তেই অনড়। সূত্রে খবর, পরিচালক রাহুল বাংলাদেশের সিরিজ ‘লহু’র চার দিন শুটিং করেন কলকাতায়। গিল্ডের দাবি শুটিংয়ে রাহুল সকলকে ২১ ঘণ্টা খাটিয়েছিলেন, তারপর চুপি চুপি বাকি শুটিং করেন বাংলাদেশে। এই খবর সামনে আসতেই ডিরেক্টরস গিল্ড রাহুলের থেকে প্রকৃত সত্য জানতে চান। রাহুল প্রথমে সমস্তটাই অস্বীকার করেন। পরে তিনি স্বীকার করেন, তিনি বাংলাদেশে গিয়ে কাজ করেছেন।এদিকে পরিচালক গিল্ডের লোকেদের পুরো টাকাও মেটিয়ে দেননি বলে দাবি করা হচ্ছে।
গিল্ডের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৯ জুলাই থেকে যত দিন পর্যন্ত না পরিচালকদের সমস্যার সমাধান হচ্ছে ততদিন বাংলা ভাষার সব শুটিং ফ্লোরে সদস্যরা অনুপস্থিত থাকবেন।
সোমবার রাতে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পরিচালকদের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে, পরিচালক গৌতম ঘোষ বললেন, ‘একটা অচল অবস্থা চলছে। আমরা সেটা কাটিয়ে উঠতে চাই। আমরা যেন সবাই মিলেমিশে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে আন্তর্জাতিক জায়গায় নিয়ে যাই। এই অচল অবস্থা থেকে বেরোতে গেলে সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। দু’পক্ষকেই ভাবতে হবে। আমরা বিভাজনে বিশ্বাস করি না। আমাদের ছোট একটা ইন্ডাস্ট্রি। এখানে কোনও পক্ষ নেই। সবাই আমরা এক।’
বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং টেকনিশিয়ানরা একে অপরের পরিপূরক। কাজেই এক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে হস্তক্ষেপ না করাই ভালো। তাঁরা নিজেরাই বিষয়টিকে মিটিয়ে নেবেন।’
গতকাল টেকনিশিয়ানস স্টুডিয়োয় গিল্ড কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয় ফেডারেশনের।ফেডারেশনের তরফে বলা হয়, পরিচালক রাহুল সেটে থাকলে টেকনিশিয়ানরা কাজ করবে না, ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র! তবে আমরা আলাপ আলোচনায় বসতে রাজি।’
সমাধান না মেলায় তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের আবেদন জানানো হয়েছে। আইন বোঝেন-জানেন এমন এক নিরপেক্ষ এক বা একাধিক ব্যক্তির উপস্থিতির আবেদন জানান পরিচালক রাজ চক্রবর্তী, অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য সহ আরও অনেকে ৷