মুম্বই, ১ আগস্ট: স্বামী সাহিলের সঙ্গে বিচ্ছেদের মামলা চলছে, ইনস্টাগ্রামে জানিয়ে দিলেন বলিউড ডিভা তথা রাষ্ট্রপুঞ্জের শুভেচ্ছা দূত দিয়া মির্জা। সাড়ে চার বছরের বিয়ে ভেঙে গেল। একই সঙ্গে অতীত হয়ে গেল ১১ বছরের প্রেমপর্ব। টানা ১১ বছর প্রেমের পর ২০১৪ অক্টোবরে সাহিল সঙ্ঘের দিল্লির ফার্ম হাউসে চারহাত এক হয়ে যায়। ঘরোয়া অনুষ্ঠান হলেও জমজমাট ছিল দিয়া সাহিলের বিয়ের মঞ্চ। সেদিন অতিথিদের তালিকাতে ছিলেন বলিউডের একঝাঁক তারকা। আজ যখন দিয়া ইনস্টাগ্রামে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা জানালেন, তখন আকাশ থেকে পড়েছে টিনসেল টাউন। আরও পড়ুন-সানি লিওনের মোবাইল নম্বর 'ফাঁস'! আসছে অশ্লীল প্রস্তাবে ভরা কল
তবে বিয়ে ভাঙলেও তাঁর যে পরস্পরের বন্ধুই থাকছেন তা জানাতে ভোলেননি দিয়া। এমনকী বিপদে পড়লে একে অপরের পাশে দাঁড়াবেন তাও জানিয়ে দিলেন। কিন্তু কেন যে তাঁদের সুখী দাম্পত্যে আজ ভহানের গেরোয় পড়ল তানিয়ে দুজনের কেউই মুখ খোলেননি। এমনিতেই লাভবার্ডস হিসেবেই দিয়া সাহিলকে দেখত মুম্বই, তবে সেই ভালবাসার নিড়ে কবে বিচ্ছেদের ঘুণ ধরল তা কেউই বুঝতে পারছেন না। আওয়াধি ঘরানায় দিয়ার বিয়ে হয়েছিল দুজনের মধ্যেই ছিল মিষ্টি প্রেমের সম্পর্ক। একসঙ্গে ব্যাবসাও করেন, রয়েছে প্রোডাকশন হাউস। বিবাহ বিচ্ছেদের পরে ব্যাবসার অংশিদারী কী হবে তা এখনও জানা যায়নি। এমনিতে বেশ অন্তর্মুখী অভিনেত্রী দিয়া মির্জাত, সেই তিনিই কিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের বিয়ে ভাঙার খবর দিচ্ছেন, এটা নিয়ে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে।। তাহলে কি দিয়া কারও প্রেম পড়েছেন, নাকি সাহিলের অন্য কাউকে মনে ধরেছে, যতক্ষণ না এই দুজনের কেউ বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুলছেন ততক্ষণ এসবের উত্তর মিলবে না। কেন না এই বিষয়ে তাঁরা প্রাইভেসি মেনটেন করার আবেদনও রেখেছেন।
— Dia Mirza (@deespeak) August 1, 2019
ফিরে আসি দিয়ার কথায়। ২০০০ সালে মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান দখল করেছিলেন দিয়া মির্জা। সেই শুরু, সম্প্রতি ওয়েব সিরিজ, ‘কাফির’-এ অভিনয় করেছেন। ২০০০ সালেই পান ‘মিস এশিয়া প্যাসিফিক’। তবে এসব খেতাবের অনেক আগেই ছবিতে আত্মপ্রকাশ দিয়ার। ১৯৯৯ সালে প্রথম অভিনয়। তামিল ছবিতে এক্সট্রার ভূমিকায় ছিলেন। এরপরে ‘রহেনা হ্যায় তেরে দিল মে’, ‘পরিণীতা’, ‘দশ’, ‘কোই মেরে দিল মে হ্যায়’, ‘ফিরে হেরা ফিরি’, ‘কুরবান’-সহ বেশ কয়েকটি সফল ছবির কুশীলব ছিলেন তিনি। ২০১৮-তে সঞ্জয় দত্তর জীবন অবলম্বনে নির্মিত ছবি ‘সঞ্জু’-তে মান্যতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিয়া মির্জা।