চেন্নাই, ৩০ এপ্রিল: #meToo আন্দোলনের ঢেউ এখনও দক্ষিণ ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আছড়ে পড়ছে। যৌন হেনস্থার প্রতিবাদে তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম-সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে একের পর এক অভিনেত্রী, মহিলা কলাকুশলী এগিয়ে আসছেন। #MeToo আন্দোলনে একের পর এক যৌন হেনস্থার বিস্ফোরক অভিযোগও উঠছে। সেই তালিকায় যোগ হলেন মালয়ালাম-তামিল সিনেমার অভিনেত্রী সাজিথা মাদাথিল (Sajitha Madathil)। সাজিথা-র অভিযোগ, তাঁকে পরিচালক কার্তিক যৌনতার বিনিময়ে সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
পাশাপাশি একবার আরও এক পরিচালক তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে ডেকে বলেছিলেন, ''তুমি আমায় রাতে খুশিতে ভরিয়ে দাও, আমি তোমার মানব্যাগকে ভরিয়ে দেবো।'' এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে সাজিথা জানালেন,' তাঁকে ফোন করে পরিচালক কার্তিক জিজ্ঞাসা করেন আপনি কি কম্প্রোমাইস করতে রাজি আছেন কি না।'
ফেসবুকে এই অভিনেত্রী যৌন নির্যাতনের অভিযোগের পুরোটা জানান। সাজিথার অভিযোগ, শুধু তিনি নন, এর আগেও অনেককে এমন প্রস্তাব দিয়েছিলেন পরিচালক কার্তিক। তবে প্রথমে তিনি সেটা বিশ্বাস করেননি। কিন্তু ক দিন আগে ফোনের পর তিনি স্তম্ভিত হয়ে যান।
এর আগে দক্ষিণ ভারতের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি-র অন্তত দশ-বারোজন অভিনেত্রী যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। যৌনতার বিনিময়ে কাজের সুযোগের অভিযোগটা দক্ষিণের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘদিনের। ক মাস আগে ভারালক্ষ্মী শরথকুমার নামের এক তামিল অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, কী ভাবে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রোগ্রামিং হেড তাঁকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি টুইটারে করা পোস্টে জানিয়েছিলেন, টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে তাঁর অনুষ্ঠান করার কথা ছিল। সেই নিয়ে আলোচনা করতে তিনি চ্যানেলের দফতরে গিয়েছিলেন। সেখানেই ওই প্রোগ্রামিং হেড তাঁকে অফিসের বাইরে দেখা করতে বলেন। ভারালক্ষ্মীর দাবি, তিনি জিজ্ঞেসও করেছিলেন সেখানে, অনুষ্ঠানের বিষয়ে কোনও কথা হবে নাকি? জবাবে টেলিভিশন চ্যানেলের ওই প্রোগ্রামিং হেড নাকি কু-ইঙ্গিত করেন এবং জানান, অন্য বিষয়ে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে চান। এর পরই নাকি ক্ষিপ্ত ভারালক্ষ্মী ওই প্রোগ্রামিং হেডকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন।