Porn Addiction: বাড়িতে বসে কাজের সুযোগে পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত ব্রিটেনের কর্মীরা,দিনে প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর্নোগ্রাফি দেখার খবর রিপোর্টে

লন্ডনের লরেল সেন্টার, ব্রিটেনের বৃহত্তম যৌন ও পর্নো আসক্তি ক্লিনিক জানিয়েছে যে তাঁরা এই মুহুর্তে এমন কিছু কর্মীদের চিকিৎসা করছে যারা দিনে ১৪ ঘন্টা পর্যন্ত পর্নোগ্রাফি দেখে।

Photo Credit_Latestly media.com

কোভিড অতিমারীর কারণে পৃথিবীতে প্রচুর বদল এসেছে। যার মধ্যে অন্যতম অফিসের চার দেওয়ালের বাইরে গিয়ে বাড়িতে বসে কাজের সংখ্যা বৃদ্ধি। আর এই বাড়িতে বসে কাজের সূত্রে বিট্রেনে বেড়ে গেছে  যৌন আসক্ত ব্যক্তির সংখ্যা। বিশেষজ্ঞদের মতে ব্রিটেনে চিকিৎসা সহায়তা চাওয়া যৌন আসক্ত লোকের সংখ্যা মহামারী চলাকালীন প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

২০১৮ সালের জুলাই মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ঘোষণা করেছে যে যৌন আসক্তি একটি মানসিক-স্বাস্থ্য ব্যাধি।রিলেশনশিপ কাউন্সেলিং সার্ভিস অনুসারে, যৌন আসক্তি হল এমন কোনো অন্তরঙ্গ কার্যকলাপ যা 'নিয়ন্ত্রণের বাইরে' বলে মনে হয়। এর মধ্যে যেমন আছে সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক যৌনতা কিংবা হস্তমৈথুন, পর্নোগ্রাফির ব্যবহার অথবা পতিতাদের সাথে সম্পর্ক রাখা।

বাড়ি থেকে কাজ করার (Work From Home) প্রবণতায় ইংল্যান্ডে চাকুরীজীবিদের মধ্যে পর্ন আসক্তি বেড়ে গেছে। এক অজ্ঞাতপরিচয় সেক্স এডিক্টস জানিয়েছেন যে লকডাউন এবং কোভিড মহামারীর চাপ মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি করেছে এবং বহু লোককে পর্ন ওয়েবসাইটের দিকে মোহে আসক্ত করেছে।  লন্ডনের লরেল সেন্টার, ব্রিটেনের বৃহত্তম যৌন ও পর্নো আসক্তি ক্লিনিক জানিয়েছে যে তাঁরা এই মুহুর্তে এমন কিছু কর্মীদের চিকিৎসা করছে যারা দিনে ১৪ ঘন্টা পর্যন্ত পর্নোগ্রাফি দেখে।

কেন্দ্রের ক্লিনিকাল ডিরেক্টর ডাঃ পলা হলের মতে, বাড়ি থেকে কাজ (WFH) মানে মানুষ এখন তাদের কম্পিউটারের সামনে একাকী সময় কাটাচ্ছে।যার ফলে এই একাকীত্ব কাটাতে তাঁরা আসক্ত হয়ে পড়ছেন যৌন ক্রিয়া কর্মে। কারণ এখন আর তাদের সেই সবের জন্য রাত অবধি অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। দিনের বেলাতেও সেই কাজ করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে তাঁরা। ক্লিনিকের থেরাপিস্টরা এখন পর্ণ আসক্তিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করতে মাসে প্রায় ৬০০ ঘন্টা ব্যয় করে যেখানে ২০১৯ সালে মাত্র ৩৬০ ঘণ্টা সময় ব্যয় করতে হত। লরেল সেন্টার জানায় ২০২২সালের প্রথম ছয় মাসে প্রায় ৭৫০ জন পর্ন আসক্ত ব্যক্তি চিকিৎসার জন্য এসেছে, যেখানে ২০১৯ সালে সারা বছরে ৯৫০ জন চিকিৎসার জন্য এসেছিল।



@endif