ওটাওয়া, ৫ ডিসেম্বর: একদিন আগেই দিল্লির উপকণ্ঠে ঘটে চলা কৃষক আন্দোলনকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কানাডার এই নাক গলানোকে ভালভাবে নেয়নি নয়াদিল্লি। গতকালই দিল্লিতে অবস্থিত কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়ে এ বিষয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছিল বিদেশ মন্ত্রক। তবে সেসব আপত্তি যে ধোপে টিকবে না তা আজ জাস্টিন ট্রুডোর মন্তব্য দেখলেই বেশ আঁচ করা যায়। নয়াদিল্লির হুমকি ছিল, ভারতের সঙ্গে কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খারাপ হতে পারে। তবে নাম না করেই ট্রুডো এদিন বললেন, “গোটা পৃথিবীতে যেকোনও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সমর্থন করে কানাডা।” আরও প
এমনিতেই সাম্প্রতিক কালে গৃহীত তিন কৃষি আইন নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছে কেন্দ্র। এই তিন আইনকে কৃষবিরোধী আখ্যা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন দেশের কৃষকরা। আইন সংশোধনের পথে হাঁটতে রাজি কেন্দ্র, কিন্তু সেসবে সায় নেই আন্দোলনরত কৃষকদের। তাদের সাফ দাবি, তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। এমতাবস্থায় কানাডার প্রধানমন্ত্রীর আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে থাকার বার্তায় বেজায় চটেছে সাউথ ব্লক। ট্রুডোর এহেন মন্তব্যের জের ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব পড়ার হুমকি দিয়েও বিষয়টি বাগে আনতে পারেনি নয়াদিল্লি। নাহলে ট্রুডো আজ এমন মন্তব্য করতেনই না। বোঝাই যাচ্ছে নয়াদিল্লির হুমকিকে পাত্তা দেননি কানাডার প্রধানমন্ত্রী।
ট্রুডোর এহেন মন্তব্যে দারুণ খুশি আন্দোলনরত কৃষকদের একাংশ। বড়কথা হল কানাডায় প্রবাসী ভারতীয়দের সংখ্যা নেহাত কম নয়। যাঁদের সিংহভাগ আবার পাঞ্জাবের মানুষ। দিল্লির মোদ্দাকথা হল, কৃষক আন্দোলননিয়ে দ্বিচারিতা করছে কানাডা। ভারত কৃষিক্ষেত্রে কৃষকদের ভর্তুকি দেয়। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বৈঠকে কানাডা বরাবর ভারতের এহেন পদক্ষেপের বিরোধিতা করে এসেছে। আর আজ কিনা ভারতের আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী! কানাডার মন্ত্রীসভার অনকে সদস্যের পূর্বপুরুষ হরিয়ানা বা পাঞ্জাবের বাসিন্দা ছিলেন। এখনও দেশে পরিজনদের অনেকেই রয়েছেন। সেকারণেই ভারতের কৃষকদের নিয়ে বেশ উদ্বেগে জাস্টিন ট্রুডো। নয়াদিল্লির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার বিষয়টি তাঁকে খুব একটা চিন্তান্বিত করছে না।