হাসান রৌহানি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প (Photo Credit: PTI)

তেহরান, ৭ জানুয়ারি: কাসেম সোলেইমানির মৃত্যুতে ইরান-আমেরিকা একবারে আসন্ন যুদ্ধের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ইরানের শিয়া অধ্যুষিত কোম শহরের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জামকরন মসজিদের উপর যুদ্ধের নিশানবাহী লাল পতাকা উড়তে দেখা যায়। অনেকের মতে এর অর্থ, দেশের জনগণকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা। এর পরেই বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস ও বালাড বায়ুসেনাঘাঁটিতে মর্টার হামলার খবর মেলে। হামলার দায় ইরানের ঘাড়ে চাপিয়ে পাল্টা হুমকি দিয়ে নিজের দেশেই বেশ কোণঠাসা অবস্থায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (US President Donald Trump)। হুমকি টুইটে ট্রাম্প লিখেছেন, ইরান কোনও মার্কিন নাগরিক বা আমেরিকার কোনও সম্পত্তির উপর হামলা করলে আমেরিকা পাল্টা হামলা চালাবে। এদিন ট্রাম্পের হুমকির জবাব দিলে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি( Hassan Rouhani)।

রৌহানি বলেন, “ইরানকে হুমকি দেওয়ার স্পর্ধাও যেন না করে আমেরিকা। কারণ তাতে ফল হবে প্রাণঘাতী।” গত শুক্রবার বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হানায় নিহত ইরানের রেভলিউশনারি গার্ড কোরের কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানির শেষকৃত্যেও উঠেছিল বদলার দাবি। ‘শয়তান আমেরিকা, নিপাত যাক’ স্লোগানে ভেসে গিয়েছিল ইরানের রাজপথ। আমেরিকার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ নেওয়ার দাবি তুলেছিলেন ইরানের ধর্মীয় গুরু তথা সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খোমেইনি। সোলেইমানির শেষকৃত্যে হাউহাউ করে কাঁদতে দেখা যায় খোমেইনিকে। শেষকৃত্যে বহু মানুষের ভিড়ের মধ্যে থেকে স্লোগান ওঠে ‘আমেরিকা ধ্বংস হোক’। এই শেষযাত্রায় সরকারি ভাবে সম্প্রচার করা হয়, কেউ যদি ট্রাম্পকে হত্যা করতে পারে তবে ইরানের প্রতিটি নাগরিক এক মার্কিন ডলার করে দেবেন। আরও পড়ুন-Iran Man Announces $80 Million Bounty For Donald Trump's Head: ট্রাম্পের মাথা আনলেই পাবে ৮০ মিলিয়ন ডলার, ইরানে সেনাপ্রধানের শেষযাত্রায় কে বললেন একথা?

ঠিক তার পরেপরেই ট্রাম্পের হুমকিতে বেজায় চটেছে মার্কিনিরা। ঘরে-বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের হুমকির তীব্র বিরোধিতা করে মার্কিন ডেমোক্র্যাটরা জানান, ইরানের সাংস্কৃতিক স্থানগুলিতে হামলা চালিয়ে আদতে নিরীহ নারী-পুরুষ, শিশুদের হত্যা করার কথাই বলেছেন ট্রাম্প। এদিন সেই হুমকির জবাব দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সাবধান করে দিলেন হাসান রৌহানি।