Boris Johnson: করোনার নতুন স্ট্রেনের সঙ্গে যুঝছে ইংল্যান্ড, ফের কড়া লকডাউন জারি বরিস জনসনের
করোনার নতুন স্ট্রেনের বাড়াবাড়িতে কাবু গোটা ইংল্যান্ড। ব্রিটেনের অবস্থাও দিনকেদিন খারাপ হচ্ছে। নতুন প্রজাতির সংক্রমণ ক্ষমতা এতই বেশি যে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে সোমবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson) বলেন, “গত বছর মহামারীর শুরুর সময় থেকে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়তে একেবারে কোমর বেঁধে নেমেছে গোটা ইংল্যান্ড। তবে তখন ছিল পুরোনো করোনাভাইরাস। আর এখন করোনার নতুন প্রজাতি। যা যেমন বিরক্তিকর ঠিক তেমনই তার সংক্রমণের ক্ষমতা।
লন্ডন, ৫ জানুয়ারি: করোনার নতুন স্ট্রেনের বাড়াবাড়িতে কাবু গোটা ইংল্যান্ড। ব্রিটেনের অবস্থাও দিনকেদিন খারাপ হচ্ছে। নতুন প্রজাতির সংক্রমণ ক্ষমতা এতই বেশি যে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে সোমবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson) বলেন, “গত বছর মহামারীর শুরুর সময় থেকে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়তে একেবারে কোমর বেঁধে নেমেছে গোটা ইংল্যান্ড। তবে তখন ছিল পুরোনো করোনাভাইরাস। আর এখন করোনার নতুন প্রজাতি। যা যেমন বিরক্তিকর ঠিক তেমনই তার সংক্রমণের ক্ষমতা। তাই ভয়াবহ সংক্রমণ রুখতে ফের দেশজুড়ে লকডাউন জারি করতে হচ্ছে। এই মুহূর্তে আমাদের হাসপাতালগুলিতে এত রোগী বাড়ছে যা মহামারীর শুরু সময় থেকে দেখা যায়নি।”
শুধুমাত্র ইংল্যান্ডের বিভিন্ন হাসপাতালে গত এক সপ্তাহে ২৭ হাজার করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর এপ্রিল মাসে যখন এ দেশে কোভিডের সংক্রমণে শীর্ষে উঠেছিল সেই সময়ের থেকে এখনও অন্তত আরও ৪০ শতাংশ রোগী বেশি রয়েছে। আগেই জানানো হয়েছে যে লকডাউনে চলে গিয়েছে স্কটল্যান্ড। ইংল্যান্ডের আরও দুই দেশে ওয়েলস ও উত্ত্র আয়ার্ল্যান্ডে আগে থেকেই লকডাউন চলছে। গত সপ্তাহে দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। দিন যত যাচ্ছে ততই দীর্ঘ হচ্ছে করোনার মৃত্যু মিছিল। এই করোনার নতুন প্রজাতিকে রুখতে সরকার ও প্রশাসনের তরফে যাবতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশবাসীকেও প্রশাসনের সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয়ে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। স্বাভাবিকভাবেই এই ভাইরাসকে রুখতে আমাদের জাতীয় লকডাউনে যেতে হচ্ছে। যার অর্থ সরকার ফের একবার সবাইকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিচ্ছে। আরও পড়ুন-Farmers' Protest: সপ্তম দফা শেষে মিলল না সমাধানসূত্র, ফের বৈঠক ৮ জানুয়ারি
কয়েকটি সীমিত কারণে নাগরিকরা বাড়ির বাইরে বেরতে পারবেন। যেমন- প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বাড়ির বাইরে বেরনো যাবে। চিকিৎসার প্রয়োজন পড়লে এবং গার্হস্থ হিংসা থেকে বাঁচতে বাড়ি থেকে বেরনোর অনুমতি রয়েছে। ইংল্যান্ডের প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ গুলিতে দূরশিক্ষার ভিত্তিতে ক্লাস নেওয়া হবে। তবে অসুস্থ হয়ে পড়ে এমন বাচ্চারা ক্লাসে যোগ দেবে না। এমনকী যেসব পড়ুয়ার বাবা-মা জরুরি পরিষেবায় রয়েছেন তাদেরও ক্লাস করার প্রয়োজন এখন নেই। সমস্ত খেলার মাঠ, স্টেডিয়াম আপাতত বন্ধ থাকবে। তবে খোলা থাকবে নার্শারি। তবে গলফ বিলিয়ার্ডের মতো খেলার জায়গায় এখনই তালা পড়ছে না। মন্দির, মসজিদ, গীর্জা, গুরুত্বারের মতো প্রার্থনস্থল খোলাই থাকবে। কিন্তু দর্শণার্থীদের মানতে হবে কোভিডের যাবতীয় নিয়মকানুন। সংবাদ মাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ফের করোনা বিপর্যয়র মধ্যে চলে গেছে ইংল্যান্ড। সেখানে এক সপ্তাহে নতুন আক্রান্ত ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে।