Afghan Baby Missing: কাঁটাতারের ওপারে মার্কিন সেনার হাতে, তারপর থেকে খোঁজ নেই ছোট্ট সোহেলের
অগাস্ট মাসে তালিবানের আফগানিস্তান (Aghanistan) দখলের পরই দেশ ছাড়ার হিড়িক লেগে যায়। কাবুল বিমানবন্দরে (Kabul Airport) বিমান ধরার জন্য জড়ো হন কয়েক লাখ আফগান। দেশ ছাড়ার জন্য কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন মির্জা আলি আহমাদি ও তাঁর স্ত্রী সুরায়া। সঙ্গে ছিল তাঁদের পাঁচ সন্তান। মাত্র দু'মাসের ছোট ছেলেকে নিয়ে সব থেকে চিন্তায় ছিলেন সুরায়া। কারণ, ভিড়ের চাপে পদপৃষ্ট হতে পারত।
নিউ ইয়র্ক, ৬ নভেম্বর: অগাস্ট মাসে তালিবানের আফগানিস্তান (Aghanistan) দখলের পরই দেশ ছাড়ার হিড়িক লেগে যায়। কাবুল বিমানবন্দরে (Kabul Airport) বিমান ধরার জন্য জড়ো হন কয়েক লাখ আফগান। দেশ ছাড়ার জন্য কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন মির্জা আলি আহমাদি ও তাঁর স্ত্রী সুরায়া। সঙ্গে ছিল তাঁদের পাঁচ সন্তান। মাত্র দু'মাসের ছোট ছেলেকে নিয়ে সব থেকে চিন্তায় ছিলেন সুরায়া। কারণ, ভিড়ের চাপে পদপৃষ্ট হতে পারত।
হঠাৎই পরিস্থিতি দেখে এক মার্কিন সেনা সুরায়াকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তাঁদের সাহায্যের প্রয়োজন আছে কি না৷ ভিড়ে পিষ্ট হয়ে যাবে, এই ভয়ে সুরায়া ওই মার্কিন সেনার (US Soldier) হাতে ছেলে সোহেলকে (Sohail) দিয়ে দেন। সুরায়া ও তাঁর স্বামী ভেবেছিলেন যে তাঁরা শীঘ্রই বিমানবন্দরে ঢুকে সন্তানকে আবারও নিয়ে নেবেন। কিন্তু, ,সোহেলের ভাগ্যে ছিল অন্য কিছু। হঠাৎই তালিবান জঙ্গিরা ভিড়কে ঠেলে সরিয়ে দিতে থাকে। সবাই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যায়। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক বাদে বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন মির্জা আলি, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানরা। যদিও, সোহেলকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মির্জা আলি আহমাদি ১০ বছর ধরে কাবুলে মার্কিন দূতাবাসে নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কাজ করেছেন। গত ২ মাস ধরে তিনি সোহেলকে খুঁজে চলেছেন। বিমানবন্দরের আধিকারিকদের কাছে তিনি কোনও উত্তর পাননি। যদিও এখন আর কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্বে নেই মার্কিন সেনারা। মির্জা জানান, একজন সামরিক কমান্ডার তাঁকে বলেছিলেন যে বিমানবন্দরের পরিস্থিতি শিশুদের জন্য খুবই বিপজ্জনক, তাই শিশুদের জন্য তৈরি বিশেষ জায়গায় হয়তো তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে গিয়েও খালি হাতেই ফিরতে হয় মির্জা আহমাদিকে, কারণ সেখানে কেউই ছিলেন না। আরও পড়ুন: Pakistan: শ্রীনগর-শারজা বিমান চলাচলে বাধা, ভারতকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারে না পাকিস্তানের
ছেলের খোঁজ পেতে এরপর মির্জা একের পর এক মার্কিন সেনা ও বিমানবন্দরের আধিকারিকদের জিজ্ঞাসা করে চলেন। যদিও সব চেষ্টা জলে যায়। কেউ কোনও উত্তর দিতে পারেনি। এক আধিকারিক তাঁকে জানান, বিমানবন্দরে শিশুদের রাখার ব্যবস্থা না থাকায়, সোহেলকে হয়তো কোনও বিমানে করে আমেরিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মির্জা আলি ও তাঁর পরিবারের এখন ঠাঁই হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ফোর্ট ব্লিসে। আফগানিস্তান থেকে কাতার, তারপরে জার্মানি হয়ে তাঁদের বিমান নামে আমেরিকার মাটিতে। পরিবারটি এখন অন্যান্য আফগান শরণার্থীদের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোথাও পুনর্বাসনের অপেক্ষায় রয়েছে।