শুভেন্দু অধিকারী (Picture Credits: ANI)

কলকাতা, ১৯ জুলাই: অনেক চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ দেশের সব বড় নেতা-মন্ত্রীদের পাঠিয়ে, তৃণমূলের হাইপ্রোফাইল দলছুটদের নিয়েও পশ্চিমবাংলা বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Elections 2021) বিজেপির (BJP) ফল একেবারে খারাপ হয়। অনেক চেষ্টা করে রাজ্যে বিজেপি মাত্র ৭৭টি আসনে জেতে। কলকাতা, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ঝাড়গ্রাম সহ দক্ষিণ বঙ্গে পদ্ম শিবিরের ফল একেবারে খারাপ হয়। কিন্তু এত চেষ্টা করেও বাংলায় বিজেপির ফল খারাপ হল কেন? তা নিয়ে অনেকে অনেক রকম ব্যাখা দিচ্ছেন। আরও পড়ুন: কোভিড প্রতিষেধক নিলেই হবেন বাহুবলি, কী বললেন নমো?

অনেকেই বলছেন, বিজেপি-র বিভাজনের রাজনীতির কারণেই এই হার। অনেকে আবার বলছেন, তৃণমূলের দলবদলুদের বরণ করে টিকিট দিয়েই ভরাডুবি। তবে নন্দীগ্রামে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে হারিয়ে বিরোধী দলনেতার পদে বসা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) -র মতে বাংলায় বিজেপির হারের কারণ অন্য। শুভেন্দুর মতে আত্মতুষ্টির কারণেই বিজেপির এই হার।  রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে দলীয় সভায় শুভেন্দু বলেন, এই জেলায় ১৬টি আসন, রাজ্যে ২৯৪টা। ১৭০-১৮০টা তো হয়েই যাবে। চণ্ডীপুরটা হারলে হারুক। নন্দকুমার তো জিতে গিয়েছে, ভগবানপুর তো জিতে গিয়েছে, খেজুরি জিতে গিয়েছে, নন্দীগ্রাম জিতে গিয়েছি। এমনই ভাবনায় আমাদের ক্ষতি হয়েছে। অনেকে নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করেছেন।"প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুরে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে জিতলেও শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিকে এই জেলা থেকে বেশি আসনে জেতাতে পারেননি।

মুকুল রায়ের ফের তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার ঘটনাটা যাতে বিজেপি কর্মীদের মনোবল ভাঙতে না পারে সেই জন্য শুভেন্দু বলেন, "মুকুলবাবু কোনও দিন কোনও ভোটে জেতেননি। কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে লোকসভা ভোটে বিজেপির ৫০ হাজার ভোটের লিড ছিল। ওই আসনে দলের সহায়কের কাজ করেন এমন লোককে প্রার্থী করলেও জিতত। তাঁর ছেলের ব্যবসা রক্ষায় মুকুলবাবু তৃণমূলে গিয়েছেন। তাতে আমাদের কী!"ভোটের আগে যে মুকুল রায়কে মুকুল দা-নামে ডাকতেন শুভেন্দু, তাঁকেই এখন বাবু নামে সম্বোধন করলেন রাজ্যের বিজেপি দলনেতা।