২২মে, ২০১৯: উত্তরবঙ্গ (North Bengal) জুড়ে জোর দড়ি টানাটানি চলছে তৃণমূল(TMC)–বিজেপি’র মধ্যে। অনেক ক্ষেত্রেই এগিয়ে আছে গেরুয়া শিবির। তবে পাল্টা টক্কর দিচ্ছে তৃণমূলও। দার্জিলিং লোকসভা(Darjeeling Constituency) কেন্দ্রে সকাল ১১টা পর্যন্ত দেখা গিয়েছে বিজেপি’র রাজু বিস্ত ৬৫ হাজার ভোটে এগিয়ে আছে। সেখানে টক্কর দিলেও এখনও পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল প্রার্থী অমর সিং রাই। ফলে এখানে জোর লড়াই হচ্ছে বলে খবর।
আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রেও জন বার্লা এগিয়ে রয়েছেন। বিজেপি’র প্রার্থী ৪১ হাজার ভোটে এগিয়ে আছে। সেখানে পিছিয়ে পড়েছেন তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ তিরকে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে এখানে। তবে বালুরঘাটে জোর টক্কর দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ। তিনি ১১ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার অনেকটা পিছিয়ে রয়েছেন। কোচবিহার কেন্দ্রেও একই অবস্থা। এখানেও এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী পরেশচন্দ্র অধিকারী ৪ হাজার ভোটে। পিছিয়ে পড়েছেন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ অধিকারী।
কিন্তু জলপাইগুড়িতে বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত কুমার রায় ২৩ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। পিছিয়ে পড়েছেন বিজয়চন্দ্র বর্মণ। তিনি তৃণমূল প্রার্থী। মালদহ (দক্ষিণ) কেন্দ্রে কংগ্রেসকে চাপে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু) পিছিয়ে পড়েছেন। ১০ হাজার ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। এমনকী মুর্শিদাবাদেও পিছিয়ে পড়েছে কংগ্রেস প্রার্থী আবু হেনা। তবে এখানে ৫০ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান।
তবে নজর কেড়েছে মালদহ (উত্তর) কেন্দ্র। সেখানে হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থী পিছিয়ে পড়েছেন। ১৮ হাজার ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। রায়গঞ্জের হালও এক। সেখানে পিছিয়ে পড়েছেন সিপিএমের হেভিওয়েট প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। তাঁকে পিছনে ফেলে বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী ৮ হাজার ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন। আর বহরমপুরে ২৭ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরী।