কলকাতা, ২১ সেপ্টেম্বর: রাজ্য বিজেপির (West Begal BJP) দায়িত্ব এখন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। গত সাত বছর ধরে যে পদে থেকে বহু বিতর্ক, বহু বাজার গরম করা কথা বলেছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। দিলীপ ঘোষের আমলেই রাজ্যে বিজেপি-র সবচেয়ে ভাল হয়। ২০১৫ সালে দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি পদে বসার সময় বাংলায় বিজেপি মাত্র দুই সাংসদের দল ছিল। তার মধ্যে আবার একটা ছিল দার্জিলিং। সেখান থেকে এখন রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল লোকসভায় ১৯জন সাংসদ। নয়া সভাপতি সুকান্তের চ্যালেঞ্জ এখন সেই সাফল্য ধরে রাখাই নয়, বরং সেটাকে আরও উন্নত করার। এখানেই উঠছে প্রশ্ন? রাজ্যে কি বিজেপি-র ফল আরও ভাল হওয়া সম্ভব? মুকুল রায়ের মত নেতা বিজেপি-তে এসে ২০১৯ লোকসভা ভোটে অন্তত সরাসরি চারটি আসন দলকে উপহার দিয়েছিলেন। আরও পড়ুন: সভাপতির পদ হারালেন দিলীপ ঘোষ, রাজ্য বিজেপি-র দায়িত্বে এবার সুকান্ত মজুমদার
মুকুল তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন। এবার? ২০২১ বিধানসভা ভোটের পর বিজেপিতে ভাঙন চূড়ান্ত। অনেক বিধায়ক গিয়েছেন, আরও যেতে পারেন। বাবুল সুপ্রিয় দল ছাড়ার পর, আরও দু তিনজন সাংসদও তৃণমূলে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা বিজেপি কর্মীদের। এমন অবস্থা থেকেই রাজ্যে দলের দায়িত্ব নিলেন সুকান্ত। ২০১৯ লোকসভা ভোটে যিনি ৩৩ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষকে। উত্তরবঙ্গ থেকে কাউকে রাজ্য সভাপতি করে বিজেপি বুঝিয়ে দিল, পদ্ম-শিবিরের পাখির চোখ উত্তরবঙ্গ।
রাজ্য সভাপতি হিসেবে কাজ শুরু আগে সুকান্ত মজুমদারের কথা শুনে মনে হল তিনি সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে চান। গতকাল, এক টিভি চ্যানেলে সাক্ষাতকারে তাঁকে বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, দিলীপ ঘোষ-তথাগত রায়েদর মত আক্রমণের রাস্তায় না গিয়ে বলেন,"বাবুল দা থাকলে ভালো হত। বহু লড়াইয়ের সাক্ষী বাবুল দা। হয়ত আগামিদিনে আবার একসঙ্গে লড়ব।" এমনকি বাবুলকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন সুকান্ত। অনেকেই বলছেন, সুকান্ত ঠান্ডা মাথার, সুকৌশলী রাজনীতিবিদ। এবার দেখার আসন্ন উপনির্বাচন, পুরনির্বাচন, তারপর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি দলকে কতটা সফলতা এনে দিতে পারেন। তাঁর আসল পরীক্ষা ২০২৪ লোকসভা ভোট।