West Bengal 6th Pay Commission: বাড়ানো হল বেতন, তবু কেন ক্ষুব্ধ রাজ্যের একাধিক কর্মচারী সংগঠন

পুজোর আগে রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বড় উপহার। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ করা প্রায় ২.৮ গুণ বৃদ্ধি পেতে চলেছে বেতন। গতকাল নবান্নে এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।

মমতা ব্যানার্জি (Photo Credits PTI)

কলকাতা, ২৪ সেপ্টেম্বর: West Bengal Cabinet Approves Implementation Of Sixth Pay Commission- পুজোর আগে রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বড় উপহার। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ করা প্রায় ২.৮ গুণ বৃদ্ধি পেতে চলেছে বেতন। গতকাল নবান্নে এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তবে কমিশনের সুপারিশ মেনে বেতন বৃদ্ধির পরেও রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের একাংশ খুশি নন। এমনকী রাজ্যের বিরুদ্ধে SAT-এও যেতে পারে কর্মচারী সংগঠন।

ক্ষোভের পিছনে রয়েছে মূলত তিনটি কারণ-১) তিন বছরের বকেয়া বেতন না দেওয়ায় প্রত্যেক কর্মীর অন্তত লাখ টাকার মত লোকসান হল, ২) বেসিক, গ্রেড-পের সঙ্গে বেতন একত্রিত করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন অমিত মিত্র এবং বর্তমান বেসিকের ২.৮ গুণ হবে বর্ধিত বেতন। মানে এমন কর্মচারী যারা ৬,৬০০ টাকা বেসিক পান তাদের বেতন হবে ১৯,৬০০ টাকা। অর্থাৎ বেতন বাড়ল মাত্র ২,৪৮০ টাকা। এই কারণেই একাধিক রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হতে চলেছে বলে খবরে প্রকাশ। ৩) ডিএ নিয়ে কোনও কোনও কথা ঘোষণা নেই। HRA ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। আরও পড়ুন-উত্তম কুমারের মহালয়া পাঠ কেন গ্রহণ করেননি শ্রোতারা 

সোমবার সন্ধ্যায় নবান্নে নতুন বেতন কাঠামোর বিশদ ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র (Amit Mitra)। ষষ্ঠ পে কমিশনে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আশাকে মান্যতা দিয়ে কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি কর্মীদের বেসিক বেতন ২.৫৭ গুণ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছিল। রাজ্য সরকার তা ২.৮০৯ গুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ আগে যে বেতন ছিল ১০০ টাকা তা এখন বেড়ে হচ্ছে ২৮০ টাকা ৯ পয়সা। নতুন বেতন কাঠামোতে হাউস রেন্ট অ্যালাওয়েন্স বা বাড়িভাড়া ভাতা ঠিক করা হয়েছে মূল বেতনের ১২ শতাংশ। এবং এর সর্বোচ্চ সীমাও বাড়ানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, মেডিক্যাল ভাতা ন্যূনতম ৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০০ করার পরামর্শ দিয়েছিল বেতন কমিশন। রাজ্য সরকার সেটাকে আরও বাড়িয়ে করল ৫০০ টাকা। এর উর্ধ্বসীমা ২৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। টিফিন খরচ দৈনিক ন্যূনতম ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করার সুপারিশ করেছিল পে কমিশন। তা আরও বাড়িয়ে ন্যূনতম ৩০ টাকা করা হল। সর্বোচ্চ পরিমাণ ৬০ টাকা থেকে বেড়ে হল ১৮০ টাকা। বাড়িভাড়ার সর্বোচ্চ সীমা আগে ছিল ৬ হাজার টাকা, যা পে কমিশন সাড়ে দশ হাজার টাকা করার সুপারিশ করেছিল। সেই ভাতা রাজ্য সরকার করল সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। গ্র্যাচুইটিতেও বিরাট স্বস্তি, আগে গ্র্যাচুইটির সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল ৬ লাখ টাকা। যা বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা করার সুপারিশ করে বেতন কমিশন। রাজ্য সরকার তা বাড়িয়ে ১২ লক্ষ টাকা করল। তবে, এতকিছুর মাঝেও একটি বিষয়ে হতাশ হতে হবে সরকারি কর্মীদের। বেতন কমিশন লাগু হলেও সরকারি কর্মীদের কোনও এরিয়ার দেওয়া হবে না। এরিয়ারের বিপুল আর্থিক বোঝা রাজ্য বহন করতে পারবে না বলেই জানানো হয়েছে।