প্রচার সভায় মমতা ব্যানার্জি।( File Photo)

৭ মে,২০১৯: মুকুল (Mukul Roy) দোষ যেন কেটেও যেন কাটছে না সব্যসাচীর। রাজারহাট–নিউটাউনের (Newtown) দাপুটে এই বিধায়ক এক ধাক্কায় কেমন যেন ঝিমিয়ে পড়েছেন। দলনেত্রীর মঞ্চে সব্যসাচীর এই একঘরে হয়ে থাকার ছবি আরও বেশি প্রকট হল। দলবদলের হিড়িকে সব্যসাচীও(Sabyasachi) নাম লিখিয়েছেন বলে এখন জল্পনা তুঙ্গে।

মুকুল যখন বিজেপির (BJP)ঘর গোছাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। ঠিক তখনই একদিন রাতে হঠাৎ তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন। অগন্তুক মুকুলকে ফিরিয়ে দেননি সব্যসাচী। লুচি আলুরদম খেয়ে ঘণ্টা খানেক সব্যসাচীর বাড়িতে কাটিয়ে তবে ফিরেছিলেন। দাবানলের মতো মুকুলের সব্যসাচীর বাড়িতে আগমনের বার্তা ছড়িয়ে পড়েছিল। রাতারাতি ঘুম উড়েছিল তৃণমূলের(TMC)। তাহলে কী সব্যসাচীও বিজেপিতে?‌ এই প্রশ্ন যেন কালীঘাটের (Kalighat)দরজায় কড়া নারছিল।

সব্যসাচীর হাবভাব বুঝতে রাতারাতি তার বাড়িতে পৌঁছে যান সুজিত, ফিরহাদ, জ্যোতিপ্রিয়রা(Joytipriya)। সাংবাদিক ডেকে মুকুলের তাঁর বাড়িতে আগমনের কারণ নিয়ে রীতিমতো জবাব দিহি করেন সব্যসাচী। তারপরে ভোটের আর কোনও প্রচারে দেখা যায়নি এই দাপুটে নেতাকে। এমনকী কোনও মিছিলেও দেখা যায়নি তাঁকে। যাকে বলে একেবারে একঘরে হয়ে ছিলেন তিনি।

অবশেষে রাজারহাট–নিউটাউনের (Rajarhat-Newtown)প্রচারসভায় দলনেত্রীর প্রচারমঞ্চে দেখা দিলেন সব্যসাচী। কিন্তু একটিবারের জন্যও মমতার (Mamata)সঙ্গে একফ্রেমে দেখা যায়নি তাঁকে। মঞ্চেও দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আসার ঠিক পাঁচ মিনিট আগে মঞ্চে আসেন সব্যসাচী। মমতার বক্তৃতা শুরু মধ্যেই জনগণের মধ্য থেকে সব্যসাচীকে দেখে গো ব্যাক স্লোগান উঠতে থাকে। সুজিত অনুগামীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ রাজারহাট–নিউটাউনে সুজিত–সব্যসাচী দ্বন্দ্ব নতুন কোনও ঘটনা নয়। তবে দলনেত্রীর সামনে এমন কাণ্ড আগে কখনও ঘটেনি।