Sheikh Shahjahan: সমন উপেক্ষা, সময়সীমা বেধে দেওয়া সত্ত্বেও ইডি দফতরে গরহাজির শেখ শাহজাহান
২৯ জানুয়ারি বেলা ১১টার মধ্যে শাহজাহানকে সল্ট লেকে সিজিও কমপ্লেসে হাজিরা দেওয়ার সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছিল। ইডির বেধে দেওয়া সময় পেরিয়ে গেলেও দেখা মিলল না সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশার'। পাঠালেন না প্রতিনিধিও।
আজ ২৯ জানুয়ারি বেলা ১১টার মধ্যে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan)। সময়সীমা পার হল। কিন্তু সল্ট লেকের সিজিও কমপ্লেক্সে গরহাজির জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য। নিজে তো আসেননি উপরন্তু কোন প্রতিনিধিও পাঠাননি সন্দেশখালির (Sandeshkhali) দাপুটে নেতা।
৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির ঘটনার ২৪ দিন পার হয়ে গেলেও এখনও দেখা মিলল না শেখ শাহজাহানের। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) সূত্র ধরেই এদিন ভোর বেলা শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে যান ইডি আধিকারিকেরা। কিন্তু পৌঁছতে আর পারেননি। পথে শাহজাহান বাহিনীর রোষের মুখে পড়ে তদন্তকারী অফিসারেরা। ঘটনায় চোট পান কয়েকজন আধিকারিক। সেই থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসনের একাংশের মদতেই লুকিয়ে রয়েছেন তিনি। এদিকে খবর, চিকিৎসার জন্যে রাজ্যের বাইরে গিয়েছেন তৃণমূল নেতা।
৫ জানুয়ারির ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ২৪ জানুয়ারি দলবল নিয়ে ফের শাহজাহানের বাড়িতে তদন্তের জন্যে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল (Enforcement Directorate)। সঙ্গে ছিল বিশাল সিআরপিএফ বাহিনী। আগের বারের হামলায় প্রথম সারিতে ছিলেন গ্রামের মহিলা বাহিনী। তাই এইবার মহিলা সিআরপিএফদের নিয়েও যাওয়া হয়েছিল। তবে অশান্তির কোন ঘটনা ঘটেনি এদিন। তদন্তে গিয়ে শাহজাহানের বাড়ি থেকে এক প্রকার খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল ইডিকে (ED)। জমির কিছু কাগজপত্র ছাড়া সেরম কিছুই মেলেনি। আগেভাগেই শাহজাহান সমস্ত কিছু সরিয়ে ফেলেছে বলে দাবি করছে ইডি। এদিন তদন্ত শেষে তৃণমূল নেতার বাড়ির বাইরে একটি নোটিস টাঙিয়ে এসেছিল তদন্তকারী দল। যেখানে বলা হয়েছিল, ২৯ জানুয়ারি বেলা ১১টার মধ্যে শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) সল্ট লেকে সিজিও কমপ্লেসে হাজিরা দিতে হবে। ইডির বেধে দেওয়া সময় পেরিয়ে গেলেও দেখা মিলল না সন্দেশখালির 'বেতাজ বাদশার'।