Shankudeb Panda. (Photo Credits: Facebook)

কলকাতা, ৯ জানুয়ারি: বঙ্গ বিজেপিতে বিদ্রোহ অব্যাহত। রাজ্যে বিজেপিতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার বিদ্রোহে এবার সামিল শঙ্কুদেব পন্ডা (Shankudev Panda)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়ের পছন্দের সাংবাদিক-রাজনীতিবিদ শঙ্কুদেব ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন শঙ্কুদেব। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। যুব বিজেপি মোর্চার সহ সভাপতি শঙ্কুদেব পন্ডা এবার রাজ্য বিজেপি সংগঠনের একাধিক গ্রুপ ছাড়লেন। বিজেপিতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেই এখন গেল গেল রব ওঠে। আসলে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বড় জয়ের পর থেকেই বিজেপিতে যেভাবে ভাঙন ধরা শুরু হয়েছে, তাতে নেতা-কর্মীরা হোয়াটসঅ্যাপ সাংগঠনিক গ্রুপ ছাড়লেই দলবদলের জল্পনা শুরু হয়ে যায়।

রাজনৈতিক মহল শোনা যাচ্ছে শনিবার রাতে বিজেপির একাধিক সাংগঠনিক হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান শঙ্কুদেব। যুব মোর্চার নতুন রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ রবিবার জানান, তিনি অন্যান্য ব্যস্ততার জন্য সকাল থেকে হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ দেখে উঠতে পারেননি।

মনে করা হচ্ছে, বিজেপির ঘোষণা করা নতুন রাজ্য কমিটি নিয়ে অসন্তোষের জেরেই এমনভাবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চাড়েন শঙ্কু। বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র পরিবর্তে রাজ্য যুব মোর্চার দায়িত্ব দেওয়া হয় ইন্দ্রনীল খাঁ-কে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে যুব মোর্চার নতুন কমিটি গঠন করতে হবে ইন্দ্রনীলকে। শঙ্কুদেব কি তাহলে বিজেপি ছেড়ে পুরনো দলে ফিরবেন? যেভাবে মুকুল রায়-রাজীব ব্যানার্জি মত নেতা-মন্ত্রীরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন। ষুব সংগঠনকে চাগানোর কাজে ওস্তাদ শঙ্কুদেব দল ছাড়বেন এমন খবর এখনও নেই। তবে জল্পনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

সম্প্রতি বিজেপিতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দলবদলের সম্ভবনা উস্কে দিয়েছেন সাংসদ- কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তারও আগে বিজেপির পাঁচজন মতুয়া বিধায়করা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন। খড়গপুরে বিজেপি তারকা বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও বিজেপি-র বিভিন্ন সাংগঠিনক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বের হয়ে যান।