কলকাতা যেন মধুচক্রের আখরা! শহরের আরও এক স্পা থেকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা হল দেহব্যবসায়ীদের
শহরে একের পর এক মধুচক্রের ফাঁস। (প্রতীকী ছবি(Photo Credit: PTI)

কলকাতা, ৩ জুলাই: Sex Racket Busted in Kolkata গত কয়েক দিনে খাস কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে বেশ কয়েকটি মধুচক্রের পর্দাফাঁস হচ্ছে। ক দিন আগে বালিগঞ্জের পর, এবার সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি রোডের স্পা-য়ের আড়ালে দেহব্যবসার চক্র ধরে ফেলল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। অভিযোগ, সেখানেই রূপচর্চা-শরীরচর্চার আড়ালে চলত দেহ ব্য়বসা।

স্পা-এর ম্যানেজার-ই ছিল ই মধুচক্রের মূলচক্রী। শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দেয় পুলিস। স্পা সেন্টারে পুলিশ হানা দিতেই সামনে আসে আসলে স্পা-য়ের নামে চলছে দেহব্যবসা।

আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে দেহ ব্যবসার প্রমাণ মেলে। ঘটনাস্থলেই গ্রেফতার করা হয় ম্যানেজার সহ ৫ জনকে। ধৃতদের মধ্যে ২ জন কাস্টমারও রয়েছে। একইসঙ্গে ওই স্পা সেন্টার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪ জন যৌন কর্মীকেও। এই ঘটনায় তালতলা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আরও পড়ুন- একরত্তিকে মায়ের বিছানা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ

ক দিন আগে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বালিগঞ্জের এক স্পা-তে হানা দিয়ে দুই যৌনকর্মী-সহ আট জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। যৌনকর্মীদের দুজনই থাইল্যন্ডের নাগরিক। তাঁরা ট্যুরিস্ট ভিসায় শহরে এসে এই কাজ করছে। কলকাতার এক ব্যবসায়ী থাইল্যান্ডে বেড়াতে গিয়ে স্পা-তে যান। সেখানে দেহ ব্যবসার রমরমা দেখে দুই যৌন কর্মীকে প্রস্তাব দেন তারপর তাঁদের কলকাতায় নিয়ে এসে শরৎ বোস রোডে শুরু করেন স্পার আড়ালে আসলে দেহ ব্যবসা।

পুলিশ জানিয়েছিল, দক্ষিণ কলকাতার শরৎ বোস রোডের ওই স্পা-তে মঙ্গলবার দুপুরে অভিযান চালান অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিট (এএইচটিইউ)-এর আধিকারিকেরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিলেন তাঁরা। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, ওই স্পা-তে গিয়ে দু’জন যৌনকর্মীর সঙ্গে দুই ব্যক্তিকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতেই শুরু হয় অভিযান। ওই দু’জন ছাড়াও স্পা-তে আরও এক জন যৌনকর্মী ছিলেন। তিন জনের মধ্যে দু’জন যৌনকর্মী থাইল্যান্ডের নাগরিক। ঘটনাস্থল থেকে ২৪,২০০ টাকা, কন্ডোম এবং বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। স্পা-এর আড়ালে সেখানে বেশ কিছু দিন ধরেই দেহব্যবসা চলছিল বলে অভিযোগ। যৌনকর্মীরা ছাড়াও সেখানে এক জন দালাল এবং ওই স্পা-র ম্যানেজার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করে বালিগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইটি(পি)আইনে মামলা রুজু করা হয়েছিল।