প্রতীকী ছবি(Photo Credit: ANI)

বারাকপুর, ৬ অক্টোবর: বারাকপুরের ত্রাস বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনের (Manish Shukla Murder case) ঘটনায় গ্রেপ্তার ২। ধৃতদের একজন খুররম শেখ, অন্যজন গুলাব শেখ। পুলিশ জানিয়েছে খুররম শেখের সঙ্গে পুরোনো শত্রুতা ছিল মণীশের, তার জেরেই এই খুনের ঘটনা। এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও যোগ নেই। খুররম শেখের বাবা সিপিএম সমর্থক। তার হত্যার নেপথ্যে মণীশ শুক্লার হাত ছিল। খুররম এবার বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে মণীশ শুক্লাকেই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেল। এজন্য শার্প শুটারও নিয়োগ করেছিল সে। আততায়ী হল গুলাব শেখ। পেশায় ব্যবসায়ী খুররম যোগাযোগ করে পেশাদার শুটার গুলাব শেখের সঙ্গে। পুরো পরিকল্পনা মাফিক খুনের ছক কষা হয়।

বিজেপি এই দাবি না মানলেও খুররম শেখের সঙ্গে মণীশের শত্রুতার কথা কারোরই অজানা ছিল না। ঘটনার সিসিটিভি ফুডেজে বাইকদুটি দেকে আততায়ী চিহ্নিত করার পরেই ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর। তবে তদন্তে যা উঠে এসেছে তা হল, ঘটনার দিন সঙ্গে ছিল না মণীশের দেহরক্ষী। সে কেন ওই দিনই ছুটিতে গেল তা স্পষ্ট নয়। গোটা বিষয়টির সঙ্গে ভিতরের কারও যোগসাজশ স্পষ্ট। কারণ আততায়ীরা মণীশ শুক্লার গতিবিধি সম্পর্কে অবহিত ছিল। লাইসেন্সড রিভলবারটিও বিজেপি নেতার কাছে ছিল না। সে খবর আততায়ী জানতো। কারণ রিভলবারের লাইসেন্স ছিল ভিন রাজ্যের। সেজন্য প্রসাসনের তরফে সেই লাইসেন্স যাচাইয়ের প্রয়োজন পড়ে। তাই রিভলবারটি পুলিশের জিম্বায় ছিল। এই সব খবর আততায়ীদের পর্যন্ত তখনই পৌঁছানো সম্ভব যখন মণীশের কাছাকাছি কেউ তা জানাবে, নাহলে নয়। তেমনই কিছু একটা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আরও পড়ুন-Donald Trump: এখনও বিপদমুক্ত নন, হোয়াইট হাউসে ফিরেই মাস্ক খুলে ফেললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

সোমবার এই দু’জনকে আটক করার পর পুলিশ তাৎপর্যভাবেই জানিয়েছিল যে টিটাগড়ের খুনের ঘটনা নিয়ে অহেতুক জল্পনা ঠিক নয়। কারণ, যে ব্যক্তি খুন হয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি খুনের অভিযোগ ও প্রানহাণির চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। হতে পারে ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত চালাচ্ছে। সোমবার গভীর রাতে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে রাজ্য পুলিশের এক বড় কর্তার মন্তব্য, তদন্ত ভালই এগোচ্ছে। চূড়ান্ত খবর পেতে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।