কলকাতা,২৯মে,২০১৯: বৃহস্পতিবারই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। যখন দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। দিল্লিতে যখন এই মহাযজ্ঞে সামিল হবেন বিজেপি ( BJP ) নেতারা। ঠিক তখনই নৈহাটিতে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগে ধর্নায় বসবেন। অন্যদিকে মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সামিল হবেন বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার শিকার বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পরিবার। সেই কারনেই মোদির শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানের সফর সূচি বাতিল করেন মমতা।
বিজেপি যখন তৃণমূলের ( Trinamool Congress )বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ করছে। এবং প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ ( West Bengal )থেকে বেছে বেছে সেই সব বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পরিবারকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যাঁদের পরিবারের কেউ না কেউ ভোটের সময় রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন। বুধবার রাজধানী এক্সপ্রেসে ( Rajdhani Express) বিশেষ উদ্যোগে বঙ্গ নেতৃত্ব তাঁদের দিল্লি নিয়ে গিয়েছেন। শপথ গ্রহন মঞ্চেও নরেন্দ্র মোদি ( Narendra Modi )বাংলায় হিংসার অভিযোগ এনে রাজনীতি করতে চাইছেন এই অভিযোগে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে যোগদানের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন মমতা। বিজেপির এই রাজনৈতিক চালের পাল্টা জবাব দিতে এদিন সকাল থেকেই নৈহাটিতে ধর্নায় বসবেন তিনি। তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, বিজেপির সন্ত্রাসের কারনে ভোটের পরে অনেক তৃণমূল কর্মী ঘরে ফিরতে পারেননি। তাঁরা এখনও ঘরছাড়া।প্রায ৪০০ জন তৃণমূল কর্মীকে ঘরে ফেরানোর কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের।নৈহাটি পুরসভার সামনেই ধর্নায় বসবেন তৃণমূল নেত্রী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মঙ্গলবারই দল বদলের হিড়িকে নৈহাটি পুরসভার সিংহভাগ তৃণমূল কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তারপরেই নৈহাটি পুরসভা বিজেপির দখলে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন মুকুল রায়। বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ও। এই সব এলাকায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা ব্যানার্জি। এই ধর্না মধ্য দিয়ে মোদির রাজনীতির পাল্টা জবাব দিতে চান মমতা।