নরেন্দ্র মোদি-মমতা ব্য়ানার্জি(Photo Credit-PTI/File/Facebook)

১৬ মে,২০১৯:‌ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনেই বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় শেষ হল রাজ্যের শেষ দফার প্রচার পর্ব। শেষ দিনের প্রচারে সর্বশক্তি নিয়েই নেমে পড়েছিল রাজনৈতিক দলগুলি। তাপমাত্রার পারদের সঙ্গে চড়েছে রাজনৈতিক দলের প্রচারের পারদও। সকাল থেকে সভা, মিছিল(Rally) কোনও কিছুরই কসুর করেনি শাসক বিরোধী কোনও দলই। সকালে মথুরাপুর(Mathurapur), ডায়মন্ড হারবারে সভা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি(Mamata Banerjee)। দুটি জায়গাতেই মোদির আগেই সভা সারেন তিনি। শাসক দলের প্রচারের মূল বিষয়ই ছিল বিদ্যাসাগর কলেজে(Bidyasagar college) বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুর।

বিজেপিকে একের পর এক হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। বলেছেন, মূর্তি ভাঙার নেপথ্যে তৃণমূলের হাত রয়েছে প্রমাণ করতে পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। এর আগে উত্তর প্রদেশের সভায় মোদি অভিযোগ করেছিলেন কলকাতায় (Kolkata)অমিত শাহের মিছিলের সময় গণ্ডগোল বাঁধিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পিছনেও রয়েছে শাসক দলের হাত। তার প্রেক্ষিতেই সরাসরি মোদিকে এই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন মমতা।

ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে মমতা অভিযোগ করেছেন ইভিএম (EVM)বদলে দেওয়ার চক্রান্ত করছেন মোদি। সেই সভাতেই চৌকিদার মোদি চোর হ্যায় স্লোগান তোলেন তিনি। তারপরে চলে আসেন সোজা বেহালায় সেখানে পর পর দুটি মিছিল করেন তৃণমূল নেত্রী। যার জেরে বিকেল থেকেই প্রায় যানজটে স্তব্ধ হয়ে যায় দক্ষিণ কলকাতা।

অন্যদিকে মথুরাপুরের সভা থেকে মোদি যখন দমদমে সেন্ট্রাল জেলের মাঠে সভা করতে আসেন তখন উত্তর কলকাতা প্রমাদ গুণছে। দমদম সেন্ট্রাল জেলের মাঠে সভা মঞ্চ থেকে মোদি মমতাকে আক্রমণ করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে প্রাইভেট প্রপার্টি করে ফেলেছেন তৃণমূল নেত্রী। জম্মু–কাশ্মীরের সঙ্গে রাজ্যের তুলনা টেনে বেনজির আক্রমণ করে মোদি বলেছেন, "জম্মু কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার আতঙ্ক থাকে। কিন্তু সেখানে পঞ্চায়েত ভোটে এত হিংসা হয় না। সেখানে বিনা হিংসায় ভোট হয়। আর এখানে পশ্চিমবঙ্গে ভোটে সব দফায় হিংসা হয়েছে। তৃণমূলের গুন্ডারা রাজ্যকে নরকে পরিণত করেছে।"

আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে প্রচার শেষ হলেও উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা স্তব্ধ হয়ে রইল তীব্র যানজটে। নাকাল হলেন শহরবাসী। যদিও মানুষের কষ্ট হবে জানিয়ে আগেরদিনই সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী।