নতুন দিল্লি, ১৯ নভেম্বর: ভারতের সর্বাধিক দূষিত (Polluted) শহরগুলির তালিকার শীর্ষে হাওড়া (Howrah)। এই শহরের দূষণ দিল্লি এবং পাশ্ববর্তী অঞ্চলের অন্যান্য শহরগুলির তুলনায় অনেক বেশি। রাজস্থানের ভিওয়াদি (Bhiwadi) দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দূষিত শহর। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (Air Quality Index) এর রিপোর্ট অনুসারে, তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। ভারতের প্রধান শহরগুলিতে বাাতাসের মান নিরীক্ষণ করতে একটি কালার কোডেড টুল ব্যবহার করা হয়। এর সাহায্যে রিয়েল-টাইম ভিত্তিতে বাতালের মান বোঝা যায়।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের দৈনিক এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বুলেটিন অনুসারে, বুধবার বিকেল ৪টেয় হাওড়ার ২৪ ঘন্টায় গড় একিউআই মান ছিল ২৮৫, তার পরে রয়েছে ভিওয়াদি (২৬৭), কলকাতা (২৬৬) এবং দিল্লি (২১১)। একিউআই স্কেলে, ০-৫০ এর মানকে ভালো মানের বাতাস হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ৫১-১০০ সন্তোষজনক, ১০১-২০০ মাঝারি, ২০১-৩০০ খারাপ, ৩০১-৪০০ খুবই খারাপ এবং ৪০১-৫০০ গুরুতর বিবেচনা করা হয়। ১ মে দেশব্যাপী লকডাউন চলার সময় কলকাতা এবং হাওড়া উভয় শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৫০-র নীচে ছিল।আরও পড়ুন: Indore: ইন্দোরের সোনার দোকানের ২০ জন কর্মী করোনা পজিটিভ, ক্রেতাদের খোঁজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর
পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তথ্য অনুসারে, হাওড়ার ঘুশুরিতে সকাল ৬টা নাগাদ বাতাসে ভাসমাণ ধুলিকণা (পার্টিকিউলেট ম্যাটার বা পিএম) ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৮৫২ মাইক্রোগ্রাম এবং সকাল ১০টায় তা বেড়ে হয় প্রতি মিটারে ৯১৫ মাইক্রোগ্রাম। আদর্শগতভাবে প্রতি মিটার ঘনমিটারে ১০০ মাইক্রোগ্রামের বেশি ধুলিকণা থাকা উচিত নয়। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের এক কর্তা বলেন, ঘুশুরি একটি শিল্প অঞ্চল, ঘনবসতিপূর্ণ এবং ভারী যান চলাচল করে। আমরা পুলিশ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে রাস্তায় জল ছেটাতে বলেছি যাতে দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
তিনি আরও জানান, কলকাতার হটস্পটগুলিতে দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মাঝে মাঝেই মিথেন গ্য়াসের কারণে আগুন লেগে যায়, সেই কারণে ডাম্পিং সাইটগুলিতে ফায়ার টেন্ডার মোতায়েন করা হয়েছে। পূর্ব কলকাতায় মারাত্মক দূষণের ফলে চামড়া ইউনিটগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।