প্রতীকী ছবি (Photo Credits: ANI)

কলকাতা, ২ ডিসেম্বর: ছেলেকে বাসি বিরিয়ানি খাইয়াছে বৌদি। তাই ছেলে বমি করছে। এদিকে ছেলের বমি করার কারণ জানতে পেরে বউদিকে পিটিয়ে খুন করল ননদ। সোমবার সন্ধ্যায় চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার (Kolkata) পাটুলি থানার গাঙ্গুলিবাগানে। মৃত মহিলার নাম ফাল্গুনী বসু(৪৮)। ইতিমধ্যেই খুনে অভিযুক্ত শর্মিষ্ঠা বসুকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃত মহিলা পেশায় একজন স্থপতি। তাঁর একটি আর্কিটেকচার ফার্ম রয়েছে ডালহৌসিতে। পুলিশ জানিয়েছে, বৌদি ফাল্গুনী ছেলেক বাসি বিরিয়ানি খাইয়েছে, এই খবর পেয়েই রেগে আগুন হয়ে ওঠে শর্মিষ্ঠা বসু। গাঙ্গুলিবাগানের দোতলা বাড়িতে শুরু হয়ে যায় দক্ষযজ্ঞ। বৌদিকে প্রথমে মারতে মারতে সে বিছানায় ফেলে দেয়। তারপর শুরু হয় উপর্যুপরি মারধর। আরও পড়ুন-COVID-19 Vaccine: দেশের বাসিন্দাদের বিনামূল্যে করোনা প্রতিষেধক দিতে জাপানের পার্লামেন্টে পাস বিল

এদিকে চেঁচামেচি মারধর এবং স্ত্রীর কান্নার আওয়াজ পেয়েই ততক্ষণে ঘটনাস্থলে চলে এসেছেন আক্রান্ত ফাল্গুনীদেবীর স্বামী। এদিকে মারের অভিঘাতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন আক্রান্ত গৃহবধূ। তারপর শান্ত হয় আক্রমণকারী শর্মিষ্ঠা বসু। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফাল্গুনী বসুকে বাঘাযতিন হাসাপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে পরিবারের দাবি অভিযুক্ত শর্মিষ্ঠা বসু স্কিৎজোফ্রেনিক। তুচ্ছ বিষয়েই সে ভীষণ রেগে গিয়ে লঙ্কাকাণ্ড বাধিয়ে বসে। তবে পুলিশ পরিবারের কাছে ধৃত মহিলার মেডিক্যাল রিপোর্ট চেয়েছে। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী মারধরের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মারা যান ফাল্গুনী বসু। তাই কোনওরকম সমাধানে আসার আগে আমরা ফরেন্সিক তথ্যপ্রমাণ চেয়ে পাঠিয়েছি।