Adhir Ranjan Chowdhury: পশ্চিমবঙ্গে সার্কাস চলছে, রাজ্যপাল আর মুখ্যমন্ত্রী সার্কাসের জোকার:অধীর চৌধুরী

পশ্চিমবঙ্গে একটি সার্কাস (circus) চলছে। রাজ্যে দুটি ভবন রয়েছে। একটি রাজভবন (গভর্নর হাউস) এবং নবান্ন ভবন (মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়)। তাঁরা এই দুটি ভবনের মাথা। এবং তাঁরা দু'জনই সার্কাসের জেকার (joker)।" আজ মেদিনীপুরে নারগিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে এক সভায় এই মন্তব্য করলেন লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা ও বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পরে এই প্রথম মেদিনীপুরে এলেন অধীর চৌধুরী। দলের এক সভায় ভাষণ দেন তিনি। এছাড়া অধীরকে সংবর্ধনা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা, কর্মীরা।

অধীর চৌধুরী (Photo: ANI)

মেদিনীপুর, ১৭ জানুয়ারি: পশ্চিমবঙ্গে একটি সার্কাস (circus) চলছে। রাজ্যে দুটি ভবন রয়েছে। একটি রাজভবন (গভর্নর হাউস) এবং নবান্ন ভবন (মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়)। তাঁরা এই দুটি ভবনের মাথা। এবং তাঁরা দু'জনই সার্কাসের জেকার (joker)।" আজ মেদিনীপুরে নারগিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে এক সভায় এই মন্তব্য করলেন লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা ও বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পরে এই প্রথম মেদিনীপুরে এলেন অধীর চৌধুরী। দলের এক সভায় ভাষণ দেন তিনি। এছাড়া অধীরকে সংবর্ধনা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা, কর্মীরা।

আন্দবাজারের খবর অনুযায়ী, ক’মাস পরই মেদিনীপুর সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের সাতটি পৌরসভায় নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে যুব কংগ্রেসের মেদিনীপুরের এই সভায় অধীরকে এনে বক্তৃতা করানোর সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। তাঁদের মতে, পৌরভোটের আগে এখন থেকেই দলীয় কর্মীদের মাঠে নামাতে চাইছেন দলীয় নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে খবর, দলের যুবকর্মীরা চেয়েছিলেন মেদিনীপুরের সভায় অধীর আসুন। সেই মতো প্রদেশ নেতৃত্বের কাছে প্রস্তাব পাঠান তাঁরা। প্রদেশ নেতৃত্ব অধীরের কাছে দলের যুবকর্মীদের ওই আর্জি জানান। অধীর সেই আর্জিতে সাড়া দেন। মেদিনীপুরের সভায় আসার ব্যাপারে সম্মতি দেন। আরও পড়ুন: Ram Madhav: হিটলার এবং মুসোলিনিকে গণতন্ত্রের 'পণ্য' বলে আখ্যা বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধবের

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিজেপি আর কংগ্রেসের (Congress) মধ্যে বিবাদ চলছেই। শাসক দলকে টানা আক্রমণ করছে বিরোধীরা। অধীর চৌধুরীও ছেড়ে দিচ্ছেন না। কয়েকদিন আগে বসিরহাটে কংগ্রেসের একটি জনসভায় অধীর চৌধুরী বলেন, ‘হ্যাঁ আমি পাকিস্তানি। মোদি-শাহ যা করার করে নিক। আমাকে পাকিস্তানি বলে ডাকা হয়। আমি আজ বলতে চাইছি যে আমি পাকিস্তানি। আপনাদের কিছু করার থাকলে করে নিন। এখানে হ্যাঁ কে হ্যাঁ বলা বড় বিপ্পজনক। দিল্লিতে বসা নেতারা যা বলবেন, সেটাই আমাদের মেনে নিতে হবে। নাহলে আমাদের দেশদ্রোহী বলা হবে।" অধীর চৌধুরী আরও বলেন, "আজ আমরা কোথায় আছি? আমাদের সেটাই করতে বলা হয়, যেটা নরেন্দ্র মোদি আর অমিত শাহ বলেন। এটা আমি স্বীকার করে নিতে পারব না। এই দেশ নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহর বাপের না। ভারত কারোর বাপের সম্পত্তি না। এটা ওই দু'জনকে বুঝতে হবে। ওনারা আজ আছে, কাল নাও থাকতে পারেন।"